জুনাইদ আল হাবিব; কুয়াশাচ্ছন্ন সকাল। ঘড়ির কাঁটায় তখনো সকাল ৮.৩০ মিনিট। যখনো অনেকে ঘুমের জগতে। সে সময় দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে এসে ওরা কলেজ মাঠে। বিশাল কলেজ ক্যাম্পাস কুয়াশায় অবরুদ্ধ। শত শত কিশোর-কিশোরী, তরুণ- তরুণী পড়ুয়ারা একসঙ্গে সমাবেশে দাঁড়িয়ে একসূরে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন জন্য এখন বাধ্যতামূলক। যেখানে এর আগে এমন নিয়ম ছিলনা। ওরা এখন নিয়মিত কলেজ চত্ত্বরকে কাঁপিয়ে তুলছে।
আরো পড়ুন: প্রতিটি নির্বাচনি এলাকায় সরকারি খরচে ১০টি করে স্কুল ভবন হবে
গল্পটা লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের! কথা হয় কয়েকজন পড়ুয়ার সাথে। তারা জানান, “একটি সু-শৃঙ্খল জীবন গঠনের যে কার্যক্রমটি দরকার, তা কলেজ কর্তৃপক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। খুবই ভালো লাগে এমন মুর্হুতে।” দ্বাদশ শ্রেণির এক শিক্ষার্থী বলেন, “স্কুল জীবনে স্কুল ক্যাম্পাসে নিয়মিত দৈনিক সমাবেশ করতাম। সেখানে সব শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব দিতাম এর মাধ্যমে। কিন্তু কলেজ জীবনে পা রেখে হঠাৎ দৈনিক সমাবেশের শূণ্যতা অনুভব করতে থাকি। কিন্তু ইদানিং কলেজে এমন উদ্যোগ সত্যিই মনে অনেক প্রশান্তি এনে দিয়েছে। এজন্য কলেজ প্রশাসনকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।”
কলেজের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মোজাহারুল হক বলছিলেন, “নিয়মিত সমাবেশের কারণে শিক্ষার্থী পড়ালেখায় মনযোগী হচ্ছে। কেননা দৈনিক সমাবেশেই তাদেরকে শ্রেণি পাঠকার্যক্রমে অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তুত করা হয়। এতে আমরা আশাকরি কলেজের ফলাফল আরো একধাপ এগিয়ে যাবে।” কেন এই উদ্যোগ? কী এর লক্ষ্য উদ্দেশ্য? জানতে চাইলে কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. মাইন উদ্দিন পাঠান বলেন, “দৈনিক সমাবেশ ছাড়া শিক্ষা কার্যক্রম তেমন পূর্ণতা পায় না। যার মাধ্যমে দক্ষ ও ক্যারিয়ার সম্পন্ন শিক্ষার্থী গড়ে ওঠবে এখান থেকে। সেজন্যই এবছরের শুরু থেকেই আমাদের এই প্রয়াস। খুব চমৎকার ও ভাললাগা অনুভূতি। যখন ওরা নিজেরাই মনমুগ্ধকরভাবে শারীরিক কসরত, শপথবাক্য পাঠ, জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া ও দু’টি নৈতিক বাক্য উচ্চারণ করে।
0Share