জুনাইদ আল হাবিব: লক্কর-ঝক্কর একটি গাড়ি। গায়ে লেখা আছে অ্যাম্বুলেন্স(রোগি পরিবাহক)। রিকসা ওভারটেক করতে পারে এ গাড়িটিকে। বৃষ্টিতে ভিতরে ছাতা নিয়ে বসতে হয়, রোদের তাপে রোগী জ্বলে। এ রকম গাড়িটি লক্ষ্মীপুরের অবহেলিত কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একমাত্র অ্যাম্বুলেন্স। উপজেলার ৫০ শয্যা বিশিষ্ট একমাত্র সরকারি হাসপাতালটির অবস্থান করইতোলা এলাকায়। ৩১৪.৮৬ বর্গকিমি এলাকা কমলনগরের জনসংখ্যা ২০১১ সালের জনশুমারিতে ছিল ২ লাখ ২২ হাজার ৯শ ১৫ জন। ৭ বছর পর এখন জনসংখ্যা প্রায় আড়াই লাখ। ২০০০ সালের দিকে এ বিপুল জনসংখ্যার জন্য একমাত্র রোগি পরিবহনটি চালু হয়। এ উপজেলায় অন্যকোন হাসপাতাল নেই। তবুও ভালো কোন রোগি পরিবহন পায়নি এলাকাবাসি।
অ্যাম্বুলেন্সের চালক মো. রাসেল লক্ষ্মীপুরটোয়েন্টিফোরকে জানান, “আমি ৮বছর যাবত অ্যাম্বুলেন্স চালক হিসেবে কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চাকরি করছি। অ্যাম্বুলেন্সটির অবস্থা এত নাজুক যে, অনেক সময় মুমূর্ষ রোগীকে নিয়ে যাওয়ার সময় বিপদেই পড়ে যাই। মাঝে মধ্যে অ্যাম্বুলেন্সটি একেবারেই চলে না। আমার অ্যাম্বুলেন্সে বহু রোগি হাসপাতালে নেয়ার আগেই মারা গেছে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন ,অথচ অ্যাম্বুলেন্সটি আমি চালাই রোাগির প্রাণে ফিরে পেতে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাঃ মীর মো. আমিনুল ইসলাম মঞ্জু লক্ষ্মীপুরটোয়েন্টিফোরকে বলেন, “মূলত একটি মাত্রই অ্যাম্বুলেন্স, বলতে গেলে এটা কোন গাড়িই না। যার কারণে মাঝে মাঝে নষ্ট হলে ঠিকঠাক করে চালাতে হয়। গরিব এলাকার রোগীদের স্বাস্থ্য সেবা আরো সহজ করতে একটি ভালো অ্যাম্বুলেন্স প্রয়োজন বলেও জানান তিনি।”
এ প্রসঙ্গে লক্ষ্মীপুর জেলা সিভিল সার্জন মোস্তফা খালেদ আহম্মদ লক্ষ্মীপুরটোয়েন্টিফোরকে বলেন, “উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্সটির কথা শুনেছি। বিষয়টি সম্পর্কে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। যদি কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আমলে নেয় তাহলে এ সংকট সমাধান করার চেষ্টা করবো।”।
0Share