নিজস্ব প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় ইউপি সদস্যসহ সাতজন গুরুতর আহত হয়েছেন। এ সময় হামলাকারীরা ওই ইউপি সদস্যের ভাইয়ের বসতঘর ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়। শনিবার রাতে উপজেলার চরমার্টিন ইউনিয়নের চৌধুরী বাজার এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।গুরুতর আহত ওই ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো.সাহাবউদ্দিন,হুমায়ুন কবীর,বেল্লাল হোসেন ও মামুন হোসেনকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।অপর আহত রাশেদা বেগম, রাবেয়া বেগম ও লাকী আক্তারকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে,চৌধুরী বাজারের ৩৪ শতক জমি নিয়ে ইউপি সদস্য সাহাবউদ্দিনের সঙ্গে প্রতিবেশী আমিনুল ইসলাম সবুজের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। বিরোধপূর্ণ ওই জমিতে বাজারের একটি দোকান ভিটাও রয়েছে।শনিবার রাতে সবুজ ভাড়াটে সন্ত্রাসী নিয়ে ওই ভিটা দখল করতে যায়।খবর পেয়ে সাহাবউদ্দিন স্বজনদের নিয়ে বাধা দিতে গেলে সবুজের লোকজন তাদের ওপর হামলা চালায়।এ সময় হামলাকারীরা সাহাবউদ্দিন, হুমায়ুন,বেল্লাল ও মামুনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।একপর্যায়ে তারা সাহাবউদ্দিনের ভাই আবুল বাসারের বাড়িতে গিয়েও হামলা চালায়।এ সময় হামলাকারীরা পরিবারের নারী সদস্য রাশেদা,রাবেয়া ও লাকীকে পিটিয়ে আহত করে বসতঘর ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়।পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
সাহাবউদ্দিনের ভাই আবুল বাসার জানান,ক্রয়সূত্রে মালিক হয়ে জমিগুলো তারা দীর্ঘদিন ধরে ভোগ দখল করে আসছেন।কিন্তু সবুজ ভাড়াটে সন্ত্রাসী নিয়ে ওই জমি দখল করতে যায়।বাধা দিলে উল্টো সন্ত্রাসীরা তার ভাইসহ সাতজনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে এবং তার বসতঘর ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়।
এদিকে, এ বিষয়ে বক্তব্য নেওয়ার জন্য আমিনুল ইসলাম সবুজের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় হাজিরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ উপপরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ জানান,তাৎক্ষণিক খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।বিরোধপূর্ণ জায়গাটি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।তবে এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ দায়ের করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান তিনি।
0Share