নিজস্ব প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুর থেকে দুই বন্ধুর সঙ্গে কাজের জন্য বেরিয়ে নরসিংদী যাওয়ার পথে আবদুল মালেক (২২) নামের এক যুবক ‘নিখোঁজ’ হয়। ২২ দিন ধরে তার সন্ধান মিলছে না। রেল গাড়িতে (ট্রেন) অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ার পর থেকে তিনি নিখোঁজ রয়েছে বলে জানায় বন্ধু নোমান (২০) ও মো. সেলিম (২৬)।
ঘটনার পর থেকে ব্রাহ্মনবাড়িয়া ও কুমিল্লার কয়েকটি থানা, হাসপাতাল ও বিভিন্ন রেল স্টেশনে খোঁজ করেও তাকে পায়নি পরিবার। এনিয়ে চরম উৎকন্ঠায় রয়েছেন তারা। এ ঘটনায় তার বাবা লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। বুধবার (২৫ এপ্রিল) সকালে নিখোঁজ মালেকের মামা মো. আব্বাছ সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। মালেক লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের পশ্চিম চরমনসা গ্রামের মো. ফারুকের (ফারুক মেস্ত্রির) ছেলে। তার উচ্চতা ৫ ফুট ৫ ইি , শরীরের গড়ন হালকা পাতলা, গায়ের রঙ ফর্সা, মুখমন্ডল গোলাকার। নিখোঁজের সময় তার পড়নে জিন্সের প্যান্ট ও গায়ে টি শার্ট ছিল বলে।
বন্ধু নোমান একই গ্রামের নুরু বেপারীর ছেলে ও সেলিম-নুরুল ইসলামের ছেলে। তারা তিনজন দীর্ঘদিন নরসিংদীতে এক সঙ্গে টাইলস মেস্ত্রির কাজ করতেন। নিখোঁজের মামা মো. আব্বাছ বলেন, ৩ এপ্রিল বিকেলে বাড়ি থেকে বের হয়ে তিনজনই নোয়াখালীর চৌমুহনী যায়। সেখান থেকে রেলযোগে (ট্রেন) নরসিংদীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। পথে আখাউড়া পৌঁছলে তার বাবার সাথে কথা হয়। এরপর থেকে তাকে আর পাওয়া যাচ্ছে না। তবে তার অন্য দুই বন্ধু নোমান ও সেলিম বলছে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েছে তারা। জ্ঞান ফেরার পর থেকে মালেককে খুঁজে পায়নি। এ ব্যাপারে বন্ধু নোমান ও সেলিমের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে নোমানের বাবা নুরু বেপারী বলেন, অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ায় আবদুল মালেক নিখোঁজ হয়। আমার ছেলে কাজ করতে ফের নরসিংদীতে গেছে। এ বিষয় দায়ের করা জিডির তদন্তকারী কর্মকর্তা ও লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কবির হোসেন বলেন, দুই বন্ধুকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তারা তিনজনই অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন। মালেকের খোঁজ তাদের কাছেও নেই। বিষয়টি থানাগুলোতে বেতার বার্তার মাধ্যমে জানানো হয়েছে।
0Share