নিজস্ব প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরে হঠাৎ কালবৈশাখীর ঝড় ও শিলা বৃষ্টিতে ফসল ও ঘর-বাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। শুক্রবার (১১ মে) বিকেল থেকে রাত ৭ টা পর্যন্ত কমলনগর ও সদর উপজেলার বেশ কিছু এলাকায় কালবৈশাখী আঘাত হানে। এ সময় ঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টিও হয়। কমলনগর উপজেলার চরমার্টিন, চর লরেন্স, তোরাবগঞ্জ, হাজিরহাট ও মেঘনা উপকূলীয় ফলকন, সাহেবেরহাট ও চর কালকিনিসহ উপজেলার প্রায় সব কয়েকটি ইউনিয়নে কম-বেশি ঝড় ও বৃষ্টি হয়েছে। ঝড়ে কমলনগরের উত্তরাঞ্চল চর লরেঞ্চ, চর মার্টিন এলাকার ইরি-বরো ধান ক্ষেতেই ঝরে গেছে। কাটার আগে এমন অপ্রত্যাশিত ক্ষতি দেখে দিশেহারা কৃষক। মতিরহাট বাজারে ২৫টি দোকান ঘরের টিনের ছালা উড়ে গেছে। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে আরো শতাধিক ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে, উড়ে গেছে বসতঘরের টিনের চালা। বিভিন্ন স্থানে গাছ পড়ে বিদ্যুতের তার ছিড়ে গেছে।
শনিবার সকালে গ্রাম ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। এদিকে, রামগতি-লক্ষ্মীপুর সড়কের দুইপাশের বেশ কয়েটি গাছ রাস্তার ওপর ভেঙে পড়ে যান চালাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে ঝড়-বৃষ্টি শেষে স্থানীয়দের সহযোগীতায় গাছ সরিয়ে ফেললে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়। কি পরিমাণ ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তাৎক্ষণিক কৃষিবিভাগ থেকে তা জানা সম্ভব হয়নি।
কমলনগর উপজেলার চর লরেন্স ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান একেএম নুরুল আমিন, চর কালকিনি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সাইফ উল্লাহ, সাহেবেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবুল খায়ের, চরফলকন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হাজী হারুনুর রশিদ কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে তাদের ইউনিয়নের ঘরবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও গাছপালসহ ফসলের ক্ষতি হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
0Share