নিজস্ব প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরে কাপড়, চা মুদি,রড ও সিমেন্ট এমনকি ফার্মেসি এ রকম সকল দোকানে দোকানে পাওয়া যাচ্ছে জ্বালানি তৈল পেট্রল ও অকটেন। এক শ্রেনীর ব্যবসায়ীরা এ বিপজ্জনক ব্যবসা করে আসছেন বছরের পর বছর। ফলে প্রতি নিয়তই আগুন লাগার মতো দূর্ঘটনা ঘটছে। বহু বছর থেকে এমন নজির বিহীন ব্যবসা চলে আসছে। লক্ষ্মীপুর সদর, রায়পুর, রামগতি, কমলনগর ও রামগঞ্জসহ ৫টি উপজেলার সকল আঞ্চলিক সড়ক ও গ্রামীণ সড়কের পাশে প্রায় সকল স্থানে এ ব্যবসা দেখা গেছে। বিপজ্জনক ও জনবসতিপূর্ন এলাকায় দোকান খুলে ড্রামে করে তৈল এনে বিক্রি করছেন এক শ্রেনীর ব্যবসায়ীরা।
জ্বালানী তৈলের ব্যবসা করতে জেলা প্রশাসক ও বিস্ফোরক অধিদপ্তরসহ সরকারী নানা সংস্থার অনুমোদন বাধ্যতামূলক থাকলেও এসব ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানের নেই কোন অনুমোদন। এসব অবৈধ ব্যবসা বন্ধে প্রশাসনের নেই কোন উদ্যোগ।
লাইসেন্সধারি কয়েকজন ডিলার জানান, জ্বালানী তেল বিক্রি করতে জেলা প্রশাসক ও বিস্ফোরক অধিদপ্তরসহ সরকারী বিভিন্ন সংস্থার অনুমোদন বাধ্যতামূলক রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে এ রকম দোকানের সে রকম কোন অনুমোদনই নেই কিন্তু তারাও জ্বালানী বিক্রি করছে। লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলায় প্রায় অর্ধশতাধিক প্রতিষ্ঠানের সরকারীভাবে জ্বালানী বিক্রির অনুমতি রয়েছে। অথচ প্রতিটি হাট-বাজার ও রাস্তার দু-পাশে গড়ে উঠেছে শত শত পেট্রল ও অকটেনের দোকান।
পেট্রলিয়াম সামগ্রী একটি বিপজ্জনক দাহ্য পদার্থ। বিশেষ করে লাইসেন্স ছাড়া এর বিক্রয় ও মজুদ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কিন্তু আইনের তোয়াক্কা না করেই প্রকাশ্যে অবৈধভাবে পেট্রলের বেচাকেনা চলছে। সাধারণ মানুষের প্রশ্ন- এই ব্যবসায়ীরা কোথা থেকে পাচ্ছে এসব পেট্রল। কেউ বলছে জাহাজি পেট্রল, আবার কেউ বলছে কনডেন্স পেট্রল। এসব ভেজাল পেট্রল ব্যবহারের ফলে যানবাহনের ইঞ্জিন ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে বিকল হয়ে পড়ছে। কেরোসিন মেশানো এসব ভেজাল পেট্রল বিক্রি করে অসাধু ব্যবসায়ীরা লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। প্রতি লিটার কেরোসিন ও পেট্রলের মধ্যে ব্যবধান হচ্ছে প্রায় ৩০ টাকা। এ কারণে এসব অসাধু ব্যবসায়ী ভেজাল ব্যবসার দিকে ঝুঁকে পড়ছে। এদিকে কেরোসিন মেশানো ভেজাল ওই পেট্রল ব্যবহার করার ফলে পেট্রলচালিত শত শত মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য যানবাহন বিকল হয়ে পড়ছে। এসব অবৈধ ব্যবসায়ী যার যার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কম মূল্যে পেট্রল বিক্রি করায় বৈধ ব্যবসায়ীরা তাদের কাছে ব্যবসায়িকভাবে মার খাচ্ছে।
এ বিষয়ে পুলিশ সুপার আ স ম মাহতাব উদ্দিন বলেছেন, এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুলিশের নজর দারীতে রয়েছে।
0Share