জুনায়েদ আহম্মেদ: লক্ষ্মীপুরে অধিকাংশ শহর এলাকার বাজারগুলোতে মৌসুমী ফল বিক্রেতাদের ব্যস্ততা বেড়েছে। প্রতিদিন মৌসুমী ফলের স্বাদ নিতে দূর-দূরান্ত থেকে ক্রেতারা ফল দোকানগুলোতে ভিড় করছেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ব্যবসা এতদিন মন্দা হলেও এ সপ্তাহে তাদের বিক্রি বেড়েছে। মৌসুমী এসব ফলে কেমিক্যাল মেশানো হয়না। কেননা কেমিক্যাল মেশালে এক থেকে দুই দিনের মধ্যে এসব ফল পচে যায় বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
এদিকে জেলার সদর উপজেলার বৃহৎ বাণিজ্যিক এলাকা চন্দ্রগঞ্জ, বশিকপুর, দত্তপাড়া, জকসিন, রায়পুর পৌর শহর, হায়দরগঞ্জ, কমলনগর উপজেলার হাজিরহাট, করুণানগর, রামগতি উপজেলার আলেকজান্ডার, রামগঞ্জ পৌর শহরসহ প্রায় সব বাজারে দেশীয় ফলের সরবরাহ বেড়েছে। এসব ফলের মধ্যে কাঁঠাল আকারভেদে ১০০-১৫০ টাকা, মন্ডল প্রতিকেজি ৮০-১০০ টাকা, দেশীয় আম প্রতিকেজি ১৫০-১৬০ টাকা, পাহাড়ী আনারস প্রতিপিছ ৩০-৩৫ টাকা, বাঙ্গি প্রতিপিছ ৫০-৬০ টাকা, লিচু প্রতিশত ২৮০-৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া গ্রামা লের বিভিন্ন রাস্তায় ও ছোট ছোট বাজারে এবং মোড়ে মোড়ে রিকশা ভ্যানে ফেরি করে দেশী জাতের আম, আনারস, কাঁঠাল, মন্ডলসহ মৌসুমী ফল বিক্রি হচ্ছে।
সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের আম ব্যবসায়ী কবির মিয়া জানান, গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে আর ঝড়ে গ্রামা লের গাছের আম অনেকটাই ঝরে গেছে। ঝরে পড়া এসব আম পাইকারি কিনে তিনি ভ্যানে ফেরি করে খুচরা বিক্রি করছেন। আধাপাকা আম প্রতিকেজি ৩০-৪০ টাকায় বিক্রি করছেন। এগুলো অনেকে আমসত্ত্ব ও চাটনি করে খাওয়ার জন্য কিনেন।
সদর উপজেলার মান্দারী বাজারে ফল কিনতে এসেছেন স্কুল শিক্ষক জাহাঙ্গির আলম। তিনি জানান, মৌসুমের শুরুতে মৌসুমী ফলের প্রতি সবারই আকর্ষণ থাকে। দাম এখন কিছুটা বেশি হলেও বাচ্চাদের জন্য আম ও লিচু কিনেছেন। তবে ফলের বাজার যাতে রাসায়নিক কেমিক্যাল (ফরমালিন) মুক্ত থাকে সেজন্য বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার রাখার দাবী জানান তিনি।
শহরের উত্তর তেমুহনী এলাকার ফল বিক্রেতা মাসুদ জানায়, বৃষ্টির কারণে এতদিন বিক্রি তেমন ছিল না। ফলে তরমুজ ও বাঙ্গি পচে অনেক লোকসান গুণতে হয়েছে। কিন্তু রমযান উপলক্ষে মৌসুমী ফলের চাহিদা ও বিক্রি বেড়েছে।
0Share