নিজস্ব প্রতিনিধি, লক্ষ্মীপুরটোয়েন্টিফোরঃ লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার হাজিরহাট উপকূল ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ জ্ঞানতাপস আবদুল মোতালেবকে অবসর জনিত বিদায়ী সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ জুন) দুপুরে কলেজ মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীবৃন্দ। উপকূল ডিগ্রী কলেজের প্রথম ব্যাচের ছাত্র ও কমলনগর উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহবায়ক ফজলুল হক সবুজের সভাপত্বিতে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রামগতি-কমলনগর আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আবদুল্লাহ। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আলোচনায় অংশ নেন, লক্ষীপুর সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মাইন উদ্দীন পাঠান, হাজিরহাট হামেদিয়া ফাজেল ডিগ্রী মাদরাসার অধ্যক্ষ জায়েদ হোসাইন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড.সামছুল কবির, কমলনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন, গবেষক ড. ফজলুল করিম, অধ্যাপক জামাল হোসেন তালুকদার, আইয়ুবনগর ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান হাজী সিরাজুল ইসলাম বাবুল (আইয়ুব), ব্যবসায়ি সোহেব হোসেন বাবলু প্রমূখ। এ সময় প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন, আমজাদ হোসেন আমু, মিরাজ হোসেন শান্ত, মোঃ সুমন এবং মোঃ রাকিব হোসেন সোহেল।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিবৃন্দ এবং বক্তারা তাদের বক্তব্যে অধ্যক্ষ জনাব মোঃ আবদুল মোতালেবের বিভিন্ন প্রশংসনীয় অবদানের কথা স্মরণ করে তাঁকে এ এলাকার শিক্ষা বিস্তারে জ্ঞানতাপস বলে সম্ভোধন করেন।
প্রসঙ্গত, সাংবাদিক ও ভাষা সৈনিক মরহুম সাংবাদিক সানা উল্লাহ নুরী, অধ্যাপক নুরুল ইসলাম, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল বারাকাত দুলাল, ব্যবসায়ী এম এ কালাম, এডভোকেট খায়ের এজাজ মাসুদ প্রমূখ ব্যক্তিবর্গের উদ্যোগে ১৯৯০ সালে সাবেক রামগতি ও বর্তমান কমলনগর উপজেলায় প্রথম কলেজ হিসেবে আত্ম প্রকাশ করে হাজিরহাট উপকূল কলেজ।
প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ের কয়েক মাস ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মরহুম নুরুল আলম। এরপর কুয়েতের প্রবাস জীবন ছেড়ে ১৯৯১ সালের আগষ্ট মাসে অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব নেন জনাব আবদুল মোতালেব। সে থেকে দীর্ঘ ২৮ বছর পর ২০১৬ সালের জুন মাসে জনাব আবদুল মোতালেব অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়মিত চাকুরী থেকে অবসর গ্রহন করেন। কিন্ত কমলনগরের শিক্ষা বিস্তার ও অধ্যক্ষ হিসেবে অসামান্য অবদানের জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষ ২০১৮ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত তাঁর চাকুরীরসীমা বৃদ্ধি করেন।
এদিকে জনাব আবদুল মোতালেবের অক্লান্ত পরিশ্রমের কারণে ২০১২ সালে উপকূল কলেজটি ডিগ্রী কলেজ হিসেবে উন্নতি লাভ করে। তাঁর চাকুরী জীবনের শেষ সময়ে কলেজটি দেশের ২৮৩ টি কলেজের সাথে জাতীয়করণের অপেক্ষায় আছে। এ কলেজের হাজার হাজার ছাত্রছাত্রীর হৃদয়ে অধ্যক্ষ আবদুল মোতালেব আজীবন বেঁেচ থাকবেন এমনটাই প্রত্যাশা করেছেন আজকের অনুষ্ঠানের অতিথিবৃন্দ।
0Share