নিজস্ব প্রতিনিধি: চলতি বছরের শেষ নাগাদ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। অক্টোবরের শেষে তফসিল ঘোষণা করার কথা। সেই বিবেচনায় এখন থেকেই রাজনৈতিক নেতারা অনানুষ্ঠানিকভাবে ভোটারদের মন জয়ের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সে ধারাবাহিকতায় নির্বাচনের আগে আসছে ঈদ। এই সুযোগকে কাজে লাগতে চান লক্ষ্মীপুরের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সম্ভাব্য এমপি প্রার্থীরা।
সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুরের সকল খবর জানতে এখানে ক্লিক করে লাইক দিয়ে রাখুন
লক্ষ্মীপুরের বিভিন্ন আসন থেকে আওয়ামীলীগ, বিএনপি, জাতীয়পার্টি, জেএসডি, এলডিপি এবং তরিকত ফেডারেশনের সম্ভাব্য এমপি প্রার্থীরা এবারের ঈদ নিজ নিজ এলাকায় ঈদ করবেন বলে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে। তারা জানিয়েছেন, স্বস্ব প্রার্থীর দলের শীর্ষ পর্যায় থেকেও ঈদকে কেন্দ্র করে এলাকার ভোটারদের মন জয় করার একটি নির্দেশনা রয়েছে। ঈদকে জনগণের কাছে যাওয়া এবং তাদের সঙ্গে দূরত্ব ঘোচানো একটি সুযোগ হিসেবে দেখছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। তাই ঈদুল আজহাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে নির্বাচনের আগে শেষ ঈদ বলে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বেসরকারি বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী এবং লক্ষ্মীপুর সদর আসনের সংসদ সদস্য একেএম শাহাজাহান কামাল ২১ আগষ্ট লক্ষ্মীপুর আসবেন। এ সময়ের মধ্যেই লক্ষ্মীপুরের অন্য তিন জন এমপি এলাকায় আসবেন। আসবেন আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী অন্য প্রার্থীগণও।
বিএনপির শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, শফিউল বারী বাবু, আবুল খায়ের ভুইঁয়াসহ বিভিন্ন আসন থেকে এ দলের সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশীরা এলাকায় আসবেন বলে জানা গেছে।
বর্তমান সংসদ সদস্য ও মনোনয়ন প্রত্যাশীরা এরই মধ্যে এলাকায় আসা শুরু করেছেন। কেউ কেউ যাওয়া আসার মধ্যে রয়েছেন।
জানা গেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ‘দলের সব এমপি, মনোনয়ন প্রত্যাশী ও কেন্দ্রীয় সব নেতাকে যার যার এলাকার ঈদ উদযাপন করতে বলা হয়েছে। নির্বাচনের আগে এটাই শেষ ঈদ। ফলে গণসংযোগ করতে এই ঈদ একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। এই সুযোগ যথাযথভাবে কাজে লাগাতে সবাইকে অবহিত করা হয়েছে।’
তাই ঈদকে কেন্দ্র করে সবার এলাকার মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে, সরকারের বিরুদ্ধে যেসব ষড়যন্ত্র চলছে, সে সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে এবং সরকারের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরতে বলা হয়েছে।’
আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা গণমাধ্যমকে বলেন, ঈদ উৎসবে সবাই নিজ গ্রামে যাবে। বিশেষ করে ঈদের ছুটি যতদিন থাকবে ততদিন বর্তমান সংসদ সদস্য, মনোনয়ন প্রত্যাশী ও কেন্দ্রীয় নেতাদের এলাকায় থাকতে বলা হয়েছে। এ সময় পাড়া-মহল্লায়, গ্রামগঞ্জে ও বাড়ি বাড়ি গিয়ে উঠান বৈঠক করে সরকারের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানাবে। আগামী নির্বাচনে কেন আওয়ামী লীগকে ভোট দেওয়া উচিত, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে দেশের উন্নয়ন হবে এসব কথা উঠান বৈঠকগুলোতে তুলে ধরতে বলা হয়েছে।
দলের নারী নেতাদের অনুরূপ কর্মসূচি পালন করতে বলা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী বলেন, ‘নির্বাচনের আগে এটি শেষ ঈদ হওয়ায় এলাকার মানুষের সঙ্গে সময় দেওয়ার জন্যে এই নির্দেশনা রয়েছে। আওয়ামী লীগের ও সরকারের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য মানুষের কাছে তুলে ধরতে নেতাকর্মীদের যত বেশি সম্ভব এলাকায় সময় দিতে বলা হয়েছে।’
0Share