নিজস্ব প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরে দুই সন্তানের জননী গৃহবধু মাহমুদা বেগমকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে মারত্বক জখম করেছে স্বামী জাফরসহ শশুর বাড়ীর লোকজন। মঙ্গলবার সদর হাসপাতালে গিয়ে মুমুর্ষূ অবস্থায় চিকিৎসা নিতে দেখা যায় ওই গৃহবধুকে। তার মাথায় ডান ও বাম পাশে ৫টি করে ১০টি সেলাই দিতে হয়েছে। এছাড়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহৃ রয়েছে। এর আগে গত ৩১ আগষ্ট শুক্রবার রাতে সদরের দালাল বাজার ইউনিয়নের পশ্চিম লক্ষ্মীপুর এলাকায় স্বামীর হামলার শিকার হয় মাহমুদা। আহত গৃহবধু মাহমুদা রায়পুর উপজেলার বামনী ইউনিয়নের সাইচা গ্রামের দিনমজুর রুহুল আমিনের মেয়ে।
এর আগে একাধিকবার মারধরের শিকার হয় তিনি। গত এক বছর আগে হত্যার উদ্দেশ্যে গলায় দড়ি দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে হত্যার চেষ্টা করে স্বামীসহ শশুর বাড়ীর লোকজন। স্থানীয় ভাবে বিচার চেয়ে কোন প্রতিকার পায়নি মাহমুদা। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাহমুদা জানায়, ২০০৬ সালে সদরের পশ্চিম লক্ষ্মীপুর এলাকার নুরুল্যাহর ছেলে জাফরের সাথে বিয়ে হয়।
বিয়ে ৬ মাস পর থেকে বিভিন্ন ভাবে যৌতুক দাবী করে আসছে। ওই সময় কিছু টাকা ও বিভিন্ন আসবাবপত্র দিয়েছে তারা। কয়েক বছর পর আবারো ব্যবসার কথা বলে ৫ লক্ষ টাকা দাবী করে নচেৎ বাড়ীতে পাটিয়ে দিবে বলে হুমকি দেয়। তার বাবা দিনমজুর হওয়ায় দিতে অপারগতা দেখান তারা। এতেই তার উপর নেমে আসে অমানুষিক নির্যাতন ও অত্যাচার। স্বামী জাফর, শশুর নুরুল্যাহ, শাশুড়ী খাতুনী এবং দুই ননদ তানিয়া ও রেশমা প্রতিনিয়তই অত্যাচার নির্যাতন করতে তাকে।
সর্বশেষ শনিবার রাতে তুচ্ছ বিষয়কে নিয়ে স্বামী জাফর তাকে দা দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে মারত্বক জখম করে দেয়। তার আত্মচিৎকারে পাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় লক্ষ্মীপুর সদর থানায় প্রাথমিক অভিযোগ দেয়া হয়েছে এবং মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে আহত মাহমুদা ও তার পরিবার। লক্ষ্মীপুর সদর থানা পুলিশ উপ-পরির্শক নাছের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি, বিষয়টি তদন্ত করে সমাধান করার আশ্বাস দেন তিনি।
0Share