নিজস্ব প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে পত্রিকার প্রবীণ হকার মাহবুবুর রহমান ও লুৎফুর রহমানকে ষড়যন্ত্রমূলক চাঁদাবাজি মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে এক আইনজীবির বিরুদ্ধে। এনিয়ে তারা চরম আতংকে রয়েছেন। এ ঘটনায় হয়রানি রোধ ও সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়ে মঙ্গলবার (৪ সেপ্টেম্বর) জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে। হকার লুৎফুর রহমান লিখিত অভিযোগটি করেন।
তারা লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দিঘলী ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামের মৃত জালাল আহমেদের ছেলে এবং চট্টগ্রাম সংবাদপত্র হকার্স বহুমুখী সমবায় সমিতি ও চট্টগ্রাম সংবাদপত্র হকার্স ইউনিয়নের সদস্য। দুইজনই চট্টগ্রামের দেওয়ানহাট সংলগ্ন সুপারিপাড়ায় ভাড়া বাসায় থাকেন। মাহবুবুর রহমান ৩০ বছর ও লুৎফর রহমান ১৫ বছর এ পেশার সঙ্গে সম্পৃক্ত।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মাহবুবুর রহমান ও লুৎফুর রহমানের সঙ্গে দীর্ঘদিন থেকে লক্ষ্মীপুর জেলা আদালতের আইনজীবি খোরশেদ আলম ও তার পরিবারের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। তারা সদরের দিঘলী ইউনিয়নের দূর্গাপূর গ্রামের। জমি নিয়ে বিরোধের ঘটনায় ২০০৮ সাল থেকে লক্ষ্মীপুর আদালতে একটি মামলা হয়। ওই মামলাটি খোরশেদ আলম উচ্চ আদালতে স্থগিত করে রেখেছেন। এদিকে গত দেড় বছর ধরে খোরশেদ আলম জোরপূর্বক হকারদের ১৫ শতাংশ জমি দখল করে আছে। সেখান থেকে তিনি ২ লাখ টাকার বিভিন্ন প্রজাতির গাছও কেটে নিয়েছেন। ওই জমিটি ওই আইনজীবি রেজিষ্ট্রি করার জন্য পাঁয়তারা করছেন বলে হকারদের অভিযোগ।
সবশেষ খোরশেদ আলম বাদী হয়ে ২৮ আগস্ট দুই সহোদরের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরো-৪-৫ জনের বিরুদ্ধে লক্ষ্মীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন। মামলাটি পরদিন চন্দ্রগঞ্জ থানায় লিপিবদ্ধ হয়েছে। এতে এক লাখ টাকার চাঁদার দাবি, একটি মোবাইল সেট ও মানিব্যাগ নিয়ে অভিযোগ আনা হয়।
হকার লুৎফুর রহমান বলেন, আমরা শুধু ঈদের ছুটির সময় গ্রামের বাড়িতে আসি।এ সুযোগে খোরশেদ জোরপূর্বক আমাদের জমি দখল করে নিয়েছে। এখন মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদেরকে হয়রানি করছে। আমি হয়রানি রোধ ও সুষ্ঠু তদন্তের দাবি করছি।
এ ব্যাপারে আইজীবি খোরশেদ আলম বলেন, আমি যে মামলা করেছি এটি সত্য। তাদের বিরুদ্ধে কোন মিথ্যা মামলা করা হয়নি।
0Share