দেশে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। মেঘনা, পদ্মা, যমুনা, ব্রহ্মপুত্র, আড়িয়ালখাঁ এবং সুরমা নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। প্রধান এ ছয় নদীর পানি এখনও বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে দুর্ভোগের শেষ হচ্ছে না এ সকল নদী অববাহিকার মানুষদের। স্বাভাবিকের চেয়ে উঁচু জোয়ারে প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। বিভিন্নস্থানে বাঁধে দেখা দিয়েছে ভাঙ্গন। এতে করে তলিয়ে গেছে ফসলের ক্ষেত ও রাস্তাঘাট।
লক্ষ্মীপুরে প্রতিদিনই স্বাভাবিকের চেয়ে উঁচু জোয়ারে প্লাবিত হয়েছে রামগতি, কমলনগর, রায়পুর, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা। ভুক্তভোগীরা বলছেন, ‘ঘরের চতুর্দিকে পানি। রাস্তাঘাট ও ফসলের ক্ষেত সব তলিয়ে গেছে। চর ও নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলগুলো তলিয়ে গেছে। ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘পানি অনেক বেড়ে গেছে। দোকানপাট সব বন্ধ, বেচাকেনা করতে পারছি না।’ রান্নাবান্নাও করার সুযোগ নেই। বেড়িবাঁধ না থাকায় এমনটা হয়েছে। দ্রুত আমরা বাঁধ চাই।’
নোয়াখালীর হাতিয়ায় অস্বাভাবিক জোয়ারের ১০টি ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এসব অঞ্চলের অন্তত ২৫ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন।
ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় বিষখালী নদীর পানি বৃদ্ধিতে নিম্নাঞ্চলের শতশত ঘরবাড়ি জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। ভেসে গেছে পুকুর ও জলাশয়ের মাছ। তলিয়ে গেছে পানের বরজ, আমনের বীজতলা ও রাস্তাঘাট। বিঘ্ন হচ্ছে সড়ক যোগাযোগ।
বরিশালে কীর্তনখোলার পানিতে তলিয়ে গেছে জেলা এবং মহানগরের অধিকাংশ এলাকা। নগরীর বেশিরভাগ এলাকা দুই থেকে তিন ফুট পানির নিচে। সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা।
বরগুনার বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তলিয়ে গেছে পৌর শহরের অধিকাংশ এলাকা।
রাজবাড়ীতে পদ্মার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এখনও পানিবন্দী রয়েছে চরাঞ্চলের কয়েক হাজার পরিবার।
সরকারের কাছে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তারা। এদিকে উত্তরের জেলা গাইবান্ধার তিস্তা, যমুনা, ব্রহ্মপুত্র ও ঘাটসহ প্রায় সবগুলো নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
0Share