করোনার মধ্যে ডায়রিয়ার প্রকোপ ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত কয়েক সপ্তাহে ধরে হঠাৎ করে ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে।
গত তিন সপ্তাহে রামগতি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীর চাপ আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে গেছে। ৩০ শয্যার এ হাসপাতালে শুধু ডায়রিয়া আক্রান্ত ৪৮৬ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। এতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও নার্সরা।
সরেজমিনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দেখা গেছে, ডায়রিয়া আক্রান্ত ভর্তিকৃত রোগীদের মধ্যে বয়স্ক ও শিশুর সংখ্যাই বেশি। প্রয়োজনের তুলনায় শয্যা না থাকায় অনেক রোগীকে বাধ্য হয়ে হাসপাতালের মেঝে ও বারান্দায় বিছানা পেতে চিকিৎসা সেবা নিতে হচ্ছে। এতে রোগীসহ তাদের সঙ্গে থাকা স্বজনদের ভোগান্তি পোহাতে দেখা যায়। এদিকে চর রমিজ ইউনিয়নের একজন নারী (৪০) ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বিশুদ্ধ পানির সংকটসহ প্রচণ্ড গরমের কারণে গত মাসের শেষের দিকে হাসপাতালে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। বর্তমানে ডায়রিয়া আক্রান্ত ৬১ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। এখন পর্যন্ত ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন একজন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ কামনাশিস মজুমদার জানান, অনিরাপদ পানি পান ও খাবার খাওয়ায়, অন্যদিকে প্রচণ্ড গরম আর অপরিস্কার-অপরিচ্ছন্ন থাকার কারণে ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য: লক্ষ্মীপুর জেলার উপকূলীয় অঞ্চল ও মেঘনার ভাঙ্গন কবলিত ১টি পৌরসভা ও ৮টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত রামগতি উপজেলা। উপজেলার দরিদ্র জনগোষ্ঠির স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের একমাত্র প্রতিষ্ঠান রামগতি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। উপজেলার প্রাণকেন্দ্র চর আলেকজান্ডারে অবস্থিত ৩১ শয্যা (হাসপাতাল) স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি চলছে ২০ শয্যা হাসপাতালের অবকাঠামোর মধ্যে। জনবল সঙ্কটের মধ্য দিয়ে প্রতিদিন স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে যাচ্ছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।
0Share