লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে “স্কুল হেলথ কার্ড” বিতরণ ও হেলথ স্ক্রিনিং কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার চর বাদাম ইউনিয়নের দক্ষিণ পশ্চিম চরসীতা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩০৪ জন শিক্ষার্থীদের মাঝে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘স্কুল হেলথ্ কার্ড’ বিতরণ ও স্ক্রিনিং কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আনোয়ার হোসাইন আকন্দ।
মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে এসডিজি-৩ সকল বয়সী মানুষের জন্য সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণ নিশ্চিতকরণে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের জন্য এ কার্যক্রম শুরু করা হয়।
জেলা প্রশাসন ও রামগতি উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা ও চর বাদাম ইউনিয়ন পরিষদের সহযোগিতায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সিভিল সার্জন ডা. আবদুল গফফার, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ নূর এ আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মেহের নিগার, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক ড. আশফাকুর রহমান মামুন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল ওয়াহেদ মুরাদ, রামগতি পৌরসভার মেয়র এম. মেজবাহ উদ্দিন, লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি হোসাইন আহমদ হেলাল, সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল মালেক, চর বাদাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন জসীম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. আবুল হাসনাত খাঁন।
হেলথ্ কার্ডের মধ্যে শিক্ষার্থীদের উচ্চতা, ওজন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, পুষ্টিগত অবস্থা, শারীরিক সমস্যা, দৃষ্টি পরীক্ষা, রক্তশূন্যতা, পালস্ ও হার্টবিটসহ সামগ্রিক বিষয় উল্লেখ থাকবে। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসকরা কার্ডের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করবেন।
জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোসাইন আকন্দ বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে স্কুল ভিত্তিক স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম রয়েছে। ‘জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা’ প্রধানমন্ত্রীর এই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে আমরাও তা শুরু করেছি। শিক্ষার্থীরা যাতে শিক্ষার পাশাপাশি মানসিক ও শারীরিকভাবে বেড়ে উঠতে পারে, সে জন্য এ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
আগামী তিন মাসের মধ্যে লক্ষ্মীপুররে মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাড়ে তিন লাখ শিক্ষার্থী স্কুল হেলথ্ কার্ডের মাধ্যমে স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন পরামর্শ পাবেন। এই কার্ডের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শারিরীক অবস্থা যাচাই করা হবে। তাদের শারীরিক এবং পুষ্টিকর বিষয়গুলো চিহ্নিত করে সেগুলো স্বাস্থ্য কার্ডে লিপিবদ্ধ থাকবে। শারীরিক কোন সমস্যা থাকলে তাদেরকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবার প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
0Share