ডাঃ আবদুল বারেক। পেশায় একজন পল্লী চিকিৎসক হলেও মৌসুমি ফসল উৎপাদনে আগ্রহ তাঁর বেশি। গ্রামের কৃষকদের সাথে নিয়ে মধ্য চররমনীমোহন এলাকার মুছার খালের ওপারে চরের বিশাল এলাকা জুড়ে কলা, সুপারি, ডাব, সয়াবিন, ধানসহ মৌসুমি ফসল আবাদ করছেন তিনি। তবে উৎপাদিত এসব ফসল মুছার খাল পাড়ি দিয়ে স্থানীয় বাজারে আনতে ভোগান্তিতে পড়তে হয় তাঁকে। শুধু তিনিই নন, সেতু না থাকায় উৎপাদিত ফসল ঝুঁকি নিয়ে এ পাড়ে আনতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে অনেককে। ফলে বাড়তি খরচের কারণে অনেক কৃষকই ক্ষেতের ফসল কম দামে বিক্রি করে লোকসান গুনতে হচ্ছে।
জানান যায়, সদর উপজেলার চররমনীমোহন ইউনিয়নের মধ্য চররমনী মোহন এলাকার মুছার খালের ওপারে রয়েছে কয়েকশত একর আবাদি জমি। এ চরে কয়েকশত পরিবার বসবাস করেন। এ চরে উৎপাদিত ফসল মজুচৌধুরীহাট এলাকাসহ জেলার বিভিন্নস্থানে বিক্রি করেন স্থানীয় কৃষকরা। মুছার খালের ওপারে যেতে নেই কোনো সেতু। ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সেতু দিয়েই আতঙ্ক নিয়ে পার হতে হচ্ছে এখানকার বাসিন্দাদের। সেতু না থাকায় স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থী, পণ্য নিয়ে বাজারে যেতে ও চিকিৎসা সেবা পেতে শহরে যেতে ভোগান্তিতে পড়তে হয় তাদের।
স্থানীয় ডাঃ আবদুল বারেক, মিয়া চাঁন, সবুরা খাতুন ও তহুরা খাতুনসহ কয়েকজন জানান, জনপ্রতিনিধিরা বারবার আশ^াস দিলেও তা আর বাস্তবায়ন হয়নি। তাদের চলাচলের জন্য মুছা খালের উপর কোনো সেতু না থাকায় প্রতিনিয়ত পড়তে হচ্ছে ভোগান্তিতে। একদিকে উৎপাদিত শস্য বাজারে আনতে যেমন কষ্ট হচ্ছে তেমনি শ্রমিক খরচও বাড়ছে। সেতু না থাকায় কাঁধে কিংবা নৌকা দিয়ে নানা শঙ্কা নিয়ে পার হতে হয় তাদের। অতিদ্রুত মুছা খালের উপর একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানান তারা।
স্থানীয় চেয়ারম্যান আবু ইউসুফ ছৈয়াল জানান, জনগুরুত্বপূর্ণ ও অবহেলিত এই এলাকায় চলাচলের জন্য একটি সেতুর প্রয়োজন। সরকারের যেকোনো প্রকল্পের আওতায় এখানে একটি সেতু বরাদ্দ দেয়ার দাবি জানান এই জনপ্রতিনিধি।
0Share