দেশের মৎস্য সম্পদের সুরক্ষা ও বংশবিস্তারের লক্ষ্যে বঙ্গোপসাগরে ৬৫দিন মৎস্য আহরণ বন্ধ রাখা সংক্রান্ত জনসচেতনতা মূলক সভা লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১০ জুলাই ) বেলা ১২টায় উপজেলার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে স্থানীয় ফিশিংবোট মালিক, জেলে ও আড়তদারদের নিয়ে এ সভার আয়োজন করে বড়খেরী নৌ পুলিশ ফাঁড়ি।
বড়খেরী নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক ফেরদৌস আহম্মদের সঞ্চালনায় উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন নৌ-পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ কামরুজ্জামান (পিপিএম)।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, লক্ষ্মীপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চরগাজী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাওহীদুল ইসলাম সুমন, মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মো. আলমগীর হোসেন প্রমুখ।
এর আগে নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে বয়ারচরের জেলে পল্লী ও মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের আশপাশের এলাকা পরিদর্শন করেন আগত অতিথিরা।
সভায় নৌ-পুলিশ, চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান (পিপিএম)বলেন, সামুদ্রিক মাছের প্রধান প্রজননকালে ৬৫ দিন (২০মে থেকে ২৩ জুলাই) সাগরে সকল মাছ ধরা বন্ধ ঘোষণা করেছেন সরকার। অসাধু জেলেরা যাতে সাগরে গিয়ে মৎস্য আহরণ করতে না পারেন, সেদিকে আমাদের নজরদারি রয়েছে। এ নিষিদ্ধ সময়ে সাগরে মাছ ধরা, ক্রয় অথবা বিক্রি করা যাবে না। এ আইন অমান্য করলে জেল অথবা জরিমানা এবং উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে।
লক্ষ্মীপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, সাগরে এখন বড় প্রজাতির মাছ লাক্ষ্যা, তাইল্যা, গুইজ্যা ও বোম মাইট্যা তেমন ধরা পড়ে না। কারণ, অপরিকল্পিতভাবে মাছ আহরণ করা হচ্ছে। এখন ওই সব প্রজাতির মাছের প্রজনন মৌসুম চলছে। তাই সরকার টানা ৬৫ দিন মাছ ধরা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মাছ ধরা বন্ধের সময় কোনো জেলে যেন সাগরে মাছ ধরতে নামতে না পারেন, যে জন্য প্রশাসন তৎপর আছেন।
উল্লেখ্য, সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণে এবং টেকসই মৎস্য আহরণে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। দেশের মাছের চাহিদা ও প্রজননের স্বার্থে ২০১৫ সাল থেকে কার্যক্রমটি বাস্তবায়ন করছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। সরকারের এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে এ বছর দেশের উপকূলীয় ১৪টি জেলার ৬৬টি উপজেলা আওতাভুক্ত রয়েছে।
মিসু সাহা নিক্কন/বার্তা/07/23
0Share