পাউবোর ব্যবস্থাপনায়
উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করছে উপজেলা প্রশাসন
লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে জলাবদ্ধতা নিরসনে ভুলুয়া নদীতে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
বুধবার সকালে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে চর নেয়ামত, মোল্লা কলোনি, স্লইস গেইট বাজার ও কোডেক বাজার এলাকায় ভূলুয়া নদীতে থাকা বাঁধ অপসারণ ও বেয়াল জাল উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। এরআগে মঙ্গলবার চর বাদাম এলাকায় থেকে শুরু হয় এ অভিযান কার্যক্রম।
এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ আমজাদ হোসেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ঝান্টু বিকাশ চাকমা, রামগতি থানার ওসি মোহাম্মদ কবির হোসেন, পাউবো’র উপ- বিভাগীয় প্রকৌশলী ইমতিয়াজ মাহমুদ, উপ-সহকারী প্রকৌশলী তনয় রায় চৌধুরী ও আবদুর রহিম, সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্য প্রমুখ।
পাউবো ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভুলুয়া নদী লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালী জেলার গুরুত্বপূর্ণ এ নদীটির দৈর্ঘ্য ৭১ কি.মি, প্রস্থ ৮৫ মি.। নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থেকে লক্ষ্মীপুর সদর, কমলনগর ও রামগতি উপজেলা হয়ে মেঘনা নদীতে মিলিত হয়েছে এ নদীটি। স্থানীয় প্রভাবশালীরা নদীর বিভিন্ন স্থান দখল করে নদীর দু’পাশে গড়ে তুলেন অসংখ্য মাছের ঘের। নদীর ময়লা আবর্জনা ফেলে পানিকে দূষণের পাশাপাশি নদী ভরাটের ফলে পানির প্রবাহ প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে।
পাউবো’র উপ- বিভাগীয় প্রকৌশলী ইমতিয়াজ মাহমুদ বলেন, এ অভিযানে রামগতি উপজেলার চর বাদাম ইউনিয়নের পশ্চিম কলাকোপা মৌজার ভুলুয়া বাজার হয়ে আজাদ নগর ব্রীজ পর্যন্ত ১২.৫০কিঃমিঃ অংশে ৫০টি স্থানে পানি প্রবাহে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয় এমন জাল, বাঁশসহ বিভিন্ন গাছ দিয়ে তৈরি বাঁধ অপসারণ করা হয়েছে।
রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ আমজাদ হোসেন বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে ভুলুয়া নদী ও উপজেলার বিভিন্ন খালে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। নদীটি দখলমুক্ত করতে পাউবোর ব্যবস্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করছি। জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য, গত বছর এ নদীর অবৈধ দখলের কারণে পানির প্রবাহ বন্ধ থাকায় দীর্ঘ দুই মাস ধরে লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি, কমলনগর, সদর এবং নোয়াখালী জেলার সদর ও সুবর্ণচর উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ ভয়াবহ জলাবদ্ধতার শিকার হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে এডভোকেট আবদুস সাত্তার পালোয়ান হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন। পরে, হাইকোর্ট ভুলুয়াসহ সকল নদী ও খালগুলোর অবৈধ দখল অপসারণের নির্দেশ দেন।
61Share