লক্ষ্মীপুর কমলনগর উপজেলায় মেঘনা নদীর তীর রক্ষা বাঁধে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। বেশ কয়েকবার ধসের পর এবার ওই বাঁধ ভাঙনের মুখে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে এলকাবাসীর মাঝে চরম আতংক দেখা দিয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, অনিয়ম ও নিন্মমানের কাজ করায় গত দেড় বছরে তীর রক্ষা বাঁধে অন্তত আট থেকে দশবার ধস নেমেছে।দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু না হওয়ায় এবং বাঁধে ধস নামার পর প্রয়োজনীয় যথাযথ উদ্যোগ না নেওয়ায় ওই এক কিলোমিটার বাঁধ এখন বিলীন হওয়ার পথে।
শনিবার (৪ মে) বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাতাব্বরহাট তীর রক্ষা বাঁধে ধসে যাওয়া বিভিন্ন অংশে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। নদীর ঢেউ আর জোয়ারের পানির আঘাতে ব্যাপকভাবে ভাঙছে বাঁধ। ভাঙন ঠেকানো না গেলে পুরো বাঁধ বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে অরক্ষিত হয়ে পড়বে কমলনগর। হুমকিতে পড়বে উপজেলা কমপ্লেক্সসহ সরকারি বেসরকারি বহু স্থাপনা।
উপজেলার মাতাব্বরহাট এলাকার তীর রক্ষা বাঁধে ভাঙনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্রপাল, লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মূসা ও কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমতিয়াজ হোসেন।
লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মুসা বলেন, বাঁধ রক্ষায় চেষ্টা চলছে। ধস ও ভাঙন ঠেকাতে জিও ব্যাগ (বালুভর্তি বিশেষ ব্যাগ) ডাম্পিং করা হয়েছে।
জানা গেছে, ২০১৪ সালে মেঘনা নদীর তীর রক্ষা বাঁধের জন্য ১৯৮ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার। বরাদ্দকৃত টাকায় কমলনগরে এক কিলোমিটার, রামগতির আলেকজান্ডারে সাড়ে তিন কিলোমিটার ও রামগতিরহাট মাছঘাট এলাকায় এক কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ করা হয়।
কমলনগরে বাঁধ নির্মাণ শেষে গত দেড় বছরে বেশ কয়েকবার ধস নামে। এলাকাবাসী বলছেন, দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে, বাঁধে ভাঙন থেকে পুরো এলাকায় বন্যা দেখা দিতে পারে।
0Share