কমলনগরে কেয়ামত মেঘনার ভয়াবহ ভাঙ্গনে যেন কেয়ামতে প্রতিচ্ছবি দেখছে লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার মেঘনাপাড়ের বাসিন্দারা। শুধু বৃহস্পতিবারের(২৬ সেপ্টেম্বর) ভাঙ্গনেই বিলীন হয়ে গেছে চর ফলকন ইউনিয়নের শত বছরের জামে মসজিদসহ বেশ কয়েক একর জমি।
ভাঙ্গনের এত ভয়াবহ রুপ এর আগে দেখেনি এ উপজেলার মানুষেরা। ভাঙ্গনের রুপ এতটাই ভয়াবহ-রুপ মানুষগুলো নিজেদের ঘরবাড়িও স্থানান্তরের সুযোগ পাচ্ছেন না। ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ বৃহস্পতিবার ভোরে যে মসজিদে মুসল্লিরা জামাতে ফজরের নামাজ আদায় করেছেন, দুপুরেই সে মসজিদ একেবারেই বিলীন। যে স্কুল ভবন থেকে ভাঙ্গন ছিল অনেক দূরে বিকেলেই ভাঙ্গন চলে এসেছে সে ভবনের কিনারে।
বিকেলে মেঘনায় বিলীন হতে চলেছে প্রাইমারি স্কুলের আরো দুটি ভবন এবং একটি ক্লিনিক ভবন। এভাবে ভাঙ্গন চলছে উপজেলার পুরো ১৭ কিমি এলাকা জুড়ে। এমন ভয়াবহ পরিস্থিতিতে ভাঙনকবলিত এলাকার লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন।
সূত্র বলছে, প্রায় দেড়শ’ বছরের পুরোনো ওই এলাকাসহ স্থানীয় স্থাপনা সমূহ রক্ষায় জুলাই মাসে পানি উন্নয়ন বোর্ড আপদকালীন একটি প্রকল্প হাতে নেয়। প্রায় চার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রকল্পটির আওতায় সেখানকার ৪শ’ মিটার এলাকায় বাঁধ নির্মাণের জন্য বালুভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হচ্ছিল। কাজটি শুরু হওয়ার পর এলাকাবাসী নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন। কিন্তু এখন শুধু এক দিনের মেঘনার ভাঙনের তীব্রতা এলাকাবাসীর সেই স্বপ্ন কেড়ে নিতে শুরু করেছে।
স্থানীয় সংসদ সদস্য মেজর (অব.) আবদুল মান্নান জানান, ভবনগুলো রক্ষায় প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ড ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখা হয়েছিল। ইতোমধ্যে সেখানে আরও ১৫ হাজার জিও ব্যাগ ডাম্পিংয়ের অনুমতি নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
0Share