লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্স চালক নুর নবী রাসেলের বদলির আদেশ জানাজানি হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করছে হাজার হাজার নেটিজেনরা। অনেকে এটাকে উচ্চ পদস্ত কোন কর্মকর্তার ষড়যন্ত্র বলেও নানা কথাবার্তা ফেসবুকে প্রকাশ করছে।
সাধারণ মানুষের পাশাপাশি ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে স্থানীয় সাংবাদিকরা, চেয়ারম্যান, শিক্ষক এবং রাজনৈতিক কর্মীরা।
এদিকে কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কর্মকর্তার স্বাক্ষরিত বদলীর আদেশটি রবিবার (১৯ জুলাই ) অ্যাম্বুলেন্স চালক নুর নবী রাসেলকে দেয়া হয়েছে বলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সূত্রে জানা গেছে।
সোমবার (২০ জুলাই) তিনি রায়পুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একই পদে যোগদান করবেন। অন্য দিকে রায়পুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্স চালককে কমলনগরে বদলী করা হয়েছে।
কমলনগরের বাসিন্দা মো: আলা উদ্দিন জানান, সরকার যেখানে চিকিৎসকদের কে নিজ এলাকায় বসবাস করে চাকুরি করার জন্য চাপাচাপি করছে সেখানে একজন জনবান্ধব মানবিক অ্যাম্বুলেন্স চালককে তার এলাকা থেকে অন্য এলাকায় বদলীর পিছনে কোন অসৎ উদ্দেশ্য আছে।
নিজাম উদ্দিন সোহেল নামের অপর একজন জানান, করোনা পরিস্থিতিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অবিরাম সেবা দেওয়া জন্যই কি তাকে বদলী করা হয়েছে ?
এদিকে স্থানীয় ভাবে জানা যায়, গরিব রোগীদের বন্ধু ও মানবিক সেবার জন্য কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্স চালক নুর নবী রাসেল সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করেছে। তার বদলী নিয়ে কমলনগরের সাধারণ মানুষের মাঝে তীব্র অসন্তোষ তৈরি হতে পারে।
নুর নবী রাসেল উপজেলার তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আলী আহাম্মদ মিয়ার বাড়ির মমিন উল্লাহর ছেলে। তিনি যে কোনো বিপদে ও দুর্যোগে দ্রুত সময়ের মধ্যে মানুষের কাছে পৌঁছে যেত। নদী ভাঙন কবলিত অসহায় মানুষের বিপদে তাকে কাছে পাওয়া যায়।
সাধারণ মানুষের অভিযোগ হচ্ছে, কমলনগরে নতুন চালক আসলে রাস্তাঘাট চিনতে-চিনতে অনেক দিন চলে যাবে। রুগী নিয়ে সহজে হাসপাতালে পৌঁছানো যাবেনা। যে কারণে কমলনগরবাসী চালক রাসেলের বদলির আদেশ প্রত্যাহার চায়। তাকে কমলনগরে বহাল রাখার দাবি জানায়।
0Share