সানা উল্লাহ সানু: ১৬ই জুন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সাহিত্যিক সানা উল্লাহ নূরীর ১৩তম মৃত্যু বার্ষিকী পালিত হয়। এ উপলক্ষ্যে মরহুমের নিজ জন্ম স্থান লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর প্রেসক্লাবের উদ্যোগে সন্ধ্যায় এক মিলাদ মাহফিল ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। কমলনগর প্রেসক্লাবের সভাপতি সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদের সভাপত্বিতে অনুষ্ঠানে স্থানীয় শিক্ষাবিদ এবং সাংবাদিকসহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ মরহুমের জীবনের তাৎপর্যপূর্ন দিক তুলে ধরে আলোচনা করেন।
জানা যায়, ১৯৪৭ সালে ভাষা আন্দোলনের মূখপত্র অর্ধ-সাপ্তাহিক পত্রিকা “ইহসানের” সহযোগী সম্পাদকের দায়িত্বের মধ্য দিয়ে জনাব নূরীর সংবাদিকতা হয় । এরপর তিনি এক নাগাড়ে দীর্ঘ ৫০ বছর সাংবাদিকতার জীবনে দৈনিক সংবাদ (১৯৫২-৫৭), দৈনিক আজাদ(১৯৪৮), দৈনিক সৈনিক, দৈনিক নাজাত,দৈনিক ইত্তেফাক(১৯৫৮),মাসিক সওগাত (১৯৬০), দৈনিক বাংলা, দৈনিক গণবাংলা, দৈনিক কিশোর, দৈনিক দেশ, দৈনিক জনতা, দৈনিক দিনকালসহ তৎকালীন অসংখ্য দৈনিকে সম্পাদক, সহযোগী সম্পাদক ও সহকারী সম্পাদক সহ গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
১৯৯৭ সালের মে মাসে দৈনিক দিনকালের সম্পাদক থাকাকালীন অবস্থায় অসুস্থ হলে তিনি আর আরোগ্য লাভ করেন নি। অবশেষে ২০০১ সালের ১৬ জুন মাত্র ৭৩ বছরে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
সাংবাদিকতার পাশাপাশি তিনি রচনা করেছেন অসংখ্য গল্প, ছোট গল্প, ছড়া কবিতা এবং উপন্যাস। এ পর্যন্ত তার ৫০টি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে এবং অপ্রকাশিত রয়েছে আরো ৫০টি পান্ডুলিপি।
তার লেখা “দারু চিনি দ্বীপের দেশে” গল্পটি নব্বইয়ের দশকের মাধ্যমিক ছাত্রছাত্রীদের জন্য আড়োলন সৃষ্টিকারী একটি রচনা ছিল। এছাড়া তার উল্লেখযোগ্য রচনা নোয়াখালীর ভাষায় লিখিত উপন্যাস “আনধার মানিকে রাজকন্যা”,নিঝুম দ্বীপের উপাখ্যান, রোহিঙ্গা কন্যা, ইতিহাস গ্রন্থ বাংলাদেশের ইতিহাস ও সভ্যতা, নোয়াখালী-ভুলুয়ার ইতিহাস ও সভ্যতা ইত্যাদি।
এই কালজয়ী সাংবাদিক ও সাহিত্যিকের জন্ম ১৯২৮ সালের ২৮ মে লক্ষ্মীপুর জেলার সাবেক রামগতি (বর্তমান কমলনগর) উপজেলার চর ফলকন গ্রামে।
0Share