লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে দুই ভাইয়ের সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধের জেরধরে ছোট ভাইয়ের স্ত্রী গৃহবধূ মায়মুনা আক্তার লামিয়াকে তার বসতঘরে ঢুকে বেধড়ক মারধর ও শ্লীলতাহানীর অভিযোগে চন্দ্রগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। এই মামলায় ৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৩/৪ জনকে আসামি করা হয়। এ দিকে মামলা দায়েরের পর এজাহারভুক্ত আসামি অমর সাহা ও দেলোয়ার হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত রোববার (১৮নভেম্বর) গৃহবধূ মায়মুনা আক্তার লামিয়া বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভবভদ্রী গ্রামের মৃত হাজী হানিফ মিয়ার দুই ছেলে সাদ্দাম হোসেন টিটু ও মো. আলী নাছের চন্দ্রগঞ্জ পশ্চিম বাজারে দীর্ঘদিন যাবত একই প্রতিষ্ঠানে রড সিমেন্টের ব্যবসা করে আসছিল। তাদের পিতার মৃত্যুর পর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য সম্পত্তির ভাগবাটোয়ারা নিয়ে টিটু ও নাছের দুই ভাইয়ের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়।
এরই মধ্যে মায়মুনা আক্তার লামিয়াকে আলী নাছের বিয়ে করে সে দক্ষিণ আফ্রিকায় চলে যায়। পরে আলী নাছেরের ব্যবসার লভ্যাংশ এবং সম্পত্তির ভাগ চাইলে সাদ্দাম হোসেন টিটু ও গৃহবধূ লামিয়ার সাথে চরম বিরোধ দেখা দেয়। এনিয়ে উভয় পরিবারের মধ্যে বিভিন্ন সময় হামলার ঘটনায় আদালতে পাল্টাপাল্টি মামলা চলমান রয়েছে।
এ দিকে গত ১৪ ও ১৬ নভেম্বর মামলার বাদিনী মায়মুনা আক্তার লামিয়াকে তার চন্দ্রগঞ্জ পশ্চিম বাজারস্থ ভাড়া বাসায় ঢুকে বড় ভাই সাদ্দাম হোসেন টিটু, তার দোকানের ম্যানেজার অমর সাহা ও কর্মচারী দেলোয়ার হোসেনসহ ৭/৮ জন মিলে লামিয়াকে শারীরিকভাবে বেদম মারধর এবং শ্লীলতাহানী করেছে বলে অভিযোগ করা হয়। পৃথক এই ঘটনায় হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে মায়মুনা আক্তার লামিয়া উল্লেখিত ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের পর পুলিশ দুইজনকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে প্রেরণ করে।
তবে, অভিযুক্ত বড় ভাই সাদ্দাম হোসেন টিটু বলেন-হামলার ঘটনাটি সত্য নয়। আমাকে ফাঁসানোর জন্য মায়মুনা আক্তার লামিয়া পরিকল্পিতভাবে ঘটনাগুলো সাজিয়েছে। পারিবারিক বিরোধে আমিও আদালতে কয়েকটি মামলা করেছি।
মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই মো. মজিবুর রহমান জানান, দুই ভাইয়ের সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিরোধ ও মারধরকে কেন্দ্র করে চন্দ্রগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের পর দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলেও তিনি জানান। চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম আজাদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
0Share