রায়পুর প্রতিনিধি: রায়পুর উপজেলায় খাদ্য নিয়ন্ত্রক নেই গত এক বছর। এছাড়া রামগতি ও রামগঞ্জ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নেই গত ছয় মাস। অন্যদিকে জেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসের
ইন্সপেক্টর ও সাব-ইন্সপেক্টর নেই দীর্ঘদিন। একটি জিপ গাড়ী থাকলেও চালকের অভাবে তা অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। এতে করে অফিসের বিভিন্ন কাজকর্ম সঠিক মনিটরিং যেমন হচ্ছে না তেমনি উপজেলা থেকে ৩০ কি.মি সড়ক পাড়ি দিয়ে জেলা কার্য্যালয়ে সকালে এসে সন্ধ্যায় তাদের অফিসে ফিরে যেতে নানা বিড়ম্বনার স্বীকার হচ্ছে বলে কর্মচারীরা জানান।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা যায়, গত ১৩ মার্চ জেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুল খালেক অন্যত্রে বদলী হয়ে যান। ইন্সপেক্টর ও সাব ইন্সপেক্টর পদ শূন্য রয়েছে দীর্ঘদিন। একটি জিপ গাড়ী থাকলেও চালকের অভাবে তা অকেজো হয়ে পড়ে আছে। গত বছরের ৭ এপ্রিল রায়পুর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ওসমান খান অবসরে যান। প্রায় ছয় মাস আগে রামগঞ্জ উপজেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রক আনোয়ার পারভেজ বদলী হয়ে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায় যোগদান করেন। তিনি এখন জেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও সদর উপজেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। প্রায় ছয় মাস আগে রামগতি উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সামছুল হুদা অন্যত্র বদলী হয়ে যায়। এতে করে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, ইন্সপেক্টর, সাব-ইন্সপেক্টর ও তিন উপজেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রক না থাকায় যেমন সুষ্ঠু ব্যবস্থপনা , গোডাউনগুলো পরদর্শন, সুষ্ঠু বিল বিতরণ করতে কর্মচারীরা হিমসিম খাচ্ছে।
এছাড়াও জেলা সহ পাঁচ উপজেলায় গোডাউনগুলোর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা থাকায় কোন সমস্য হচ্ছেনা বলে কর্তৃপক্ষ জানান। তবে মাঝে মাঝে উপজেলাতে গিয়ে জেলার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করে আসেন।
জেলার ভারপ্রাপ্ত খাদ্য নিয়ন্ত্রক, আনোয়ার পারভেজ জানান, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, ইন্সপেক্টর, সাব-ইন্সপেক্টর ও গাড়িটি অকেজো থাকায় ও চালক না থাকায় চরম সমস্যার সম্মূখীন হতে হচ্ছে। অচল গাড়িটি সচল থাকলে এবং একজন চালাক নিয়োগ করা হলে গোডাউনগুরো পরিদর্শন করা যেত।
0Share