নিজস্ব প্রতিবেদক : জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ থানার ধন্যপুর গ্রামে মুকবুল আহম্মদ (৫৫) ও তার নাতি মানিককে (৩০) হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ সময় মুকবুল আহম্মদের বাম হাতের একটি আঙ্গুল কুপিয়ে আলাদা করে পুকুরের পানিতে
ফেলে দেয় তারা। ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার সকাল ৯টায় ওই গ্রামের আহম্মদ আলী হাজী বাড়িতে। মারাত্মক আহতাবস্থায় মুকবুল আহম্মদ ও মানিককে প্রথমে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করার পর সেখানে তাদের অবস্থার অবনতি ঘটলে উন্নত চিকিৎসার জন্য মানিককে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে এবং মুকবুল আহম্মদকে ইবনেসিনা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। আহত মুকবুল আহম্মদ ওই বাড়ির মৃত আমিন উল্যার ছেলে এবং মানিক একই বাড়ির আবুল কালামের ছেলে বলে জানা গেছে।
এ দিকে ঘটনার দিন রাতেই আহত মানিকের পিতা আবুল কালাম বাদি হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় ৪ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। আসামিরা হলেন, একই বাড়ির মৃত মন্তাজ মিয়ার ছেলে সোলেমান, আলাউদ্দিন, ফারুক ও জসীম। তাদের মধ্যে সোলেমানকে ওইদিন রাতেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অন্যান্য আসামিরা এখনও গ্রেপ্তার হয়নি।
মামলার বাদি আবুল কালাম জানান, ঘটনার দিন সকালে আমার মালিকীয় বসতভিটায় আধাপাকা দালান তোলার জন্য মাটি কাটতে গেলে প্রতিপক্ষ সোলেমানরা ৪ ভাই মিলে আমাদের বাধা দেয়। এ সময় আমি ও আমার ছেলে মানিকের সাথে তাদের বাকবিতন্ডা হয়। শোর চিৎকার শুনে আমার চাচা মুকবুল আহম্মদ উভয়পক্ষকে মানাতে এলে সোলেমানরা ৪ ভাইসহ অন্যান্যরা মিলে আমার চাচা মুকবুল আহম্মদ ও আমার ছেলে মানিককে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। একপর্যায়ে আমার চাচা মুকবুল আহম্মদের বাম হাতের একটি আঙ্গুল আলাদা করে ফেললে আসামি ফারুকের স্ত্রী রাশেদা বেগম আঙ্গুলটি পুকুরের পানিতে ফেলে দেয়।
এ ব্যাপারে চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি হুমায়ুন কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মামলা দায়েরের পর আসামি সোলেমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।
0Share