নিজস্ব প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরে জেলা আইনজীবি সমিতির নতুন ভবন নির্মাণে বাধা দেয়াকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার দুপুরে যুগ্ম জেলা জজ আদালতের এজলাসের কয়েকটি কক্ষের দরজা ও জানালার কাঁচ ভাংচুর করে বিক্ষুদ্ধ আইনজীবিরা। এ সময় জেলা ও দায়রা জজ ও চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেটের বদলীর দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে তারা। এ সময় ছবি নিতে গেলে বিএম সাগর নামের স্থানীয় এক সাংবাদিকেও লাঞ্চিত করে বিক্ষুব্ধ আইনজীবীরা। এতে অন্তত ১০ কর্মচারী আহত হয়। আহতদের প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরের দিকে জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও আদালত সূত্র জানায়, জেলা আইনজীবি সমিতি ভবনের সামনে সরকারী সম্পত্তিতে নতুন বার ভবন নির্মাণকে কেন্দ্র করে জেলা জজ, চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট, গণপূর্ত বিভাগ, জেলা প্রশাসনের সাথে গত কয়েকদিন ধরে আইনজীবিদের মতবিরোধ দেখা দেয়। এর জের ধরে ৩ জানুয়ারী জেলা আইনজীবি সমিতির নেতৃবৃন্দ জেলা জজ আদালত, চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত অনির্দিষ্টকালের জন্য বর্জণের ঘোষণা দেয়। সকালে জেলা ও দায়রা জজ মোঃ আকতার হোসেন বিচারিক কাজে এজলাসে উঠলে আইনজীবিরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন। এ সময় আইনজীবিরা মিছিলসহকারে এজলাসে প্রবেশের চেষ্টা করলে জজ কোর্টের কর্মচারীরা বাধা দেয়।
এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধ আইনজীবিরা জেলা জজ আদালতের দরজা, জানালার বেশ কিছু কাঁচ ভাংচুরসহ কর্মচারীদের মারধর করে। এতে জজ কোর্টের সেরেস্তা সহকারী আবদুল মতিন, বেঞ্চ সহকারি আইয়ুব আলী, জারিকারক ইমাম হোসেন মিন্টুসহ ১০ কর্মচারী আহত হয়। এ ঘটনার ছবি ধারণ করতে গেলে স্থানীয় একটি পত্রিকার সাংবাদিককেও লাঞ্ছিত করেন তারা। পরে পুলিশ ও র্যাব ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এ দিকে পেশাগত দায়িত্ব পালনে সাংবাদিকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে সাংবাদিক মহল। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাংবাদিক নেতারা।
এ বিষয়ে লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, খবর পাওয়ার সাথে সাথে পুলিশ ও র্যাব-১১ এর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আছে।
0Share