জুনায়েদ আহম্মেদ: লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চরশাহী ইউনিয়নে একটি সেতু ভেঙ্গে যাওয়ায় তিন ইউনিয়নের পাচঁ গ্রামের মানুষের যোগাযোগে ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে।
তিনটি ইউনিয়নের সংযোগ সেতু ছিল এটি। রাজাপুর, খাগুড়িয়া, দিঘলী, দক্ষিণ নুরুল্লাপুর, সাঙ্কি ভাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দারা জেলা শহরে যোগাযোগের একমাত্র সহজ মাধ্যম হিসেবে নুরুল্লাপুর সড়কের এই সেতুটি ব্যবহার করে আসছিলো।
সম্প্রতি চরশাহী ইউনিয়নের নুরুল্লাহপুর গ্রামে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) ওয়াপদা খালের উপর নির্মিত এ সেতুটি ধসে পড়ে। এতে করে গ্রামগুলোর সাথে জেলা শহরের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পাশাপাশি ভোগান্তিতে পড়েছে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা। তবে দীর্ঘদিন ঝুঁকিপূর্ণ এ সেতুর দুই পাশের মাটি সরে গেলেও কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা না নেয়াকে দুষছেন স্থানীয়রা।
এ সেতু দিয়ে জনতা ডিগ্রী কলেজ, নুরুল্লাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নুরুল্লাপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও খাগুড়িয়া মাদ্রাসাসহ প্রায় ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, চরশাহী ইউনিয়নের নুরুল্লাপুর ওয়াপদা খালের উপর পাকা এ সেতুটি দীর্ঘদিন থেকে ঝুঁকির মাঝে ছিল। ঝুঁকিপূর্ণ এসেতুটি দিয়েই যানচলাচলসহ যাতায়াত করতো কয়েক গ্রামের মানুষ। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) আওতাধীন নির্মাণ করা হয় এ সেতু। দীর্ঘ বছর ধরে খালের পানির তোড়ে ধীরে ধীরে সেতুটির নিচের মাটি সরে গিয়ে হুমকির মুখে পড়ে সেতুটি। গত শুক্রবার হঠাৎ সেতুটি ভেঙ্গে খালে পড়ে যায়। বড় ধরণের কোন দুর্ঘটনা না ঘটলেও ঘটনার সময় সেতুর উপর দিয়ে হেঁটে চলা দুইজন স্কুল ছাত্র দৌঁড়ে অন্য পাড়ে চলে যায়।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের লক্ষ্মীপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী একেএম রশিদ আহমদ জানান, পানির প্রবল প্রবাহে নিচ থেকে মাটি সরে গিয়ে সেতুটি ভেঙ্গে পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ভোগান্তি কাটিয়ে তুলতে বিকল্প সেতু নির্মাণসহ প্রায় তিন কোটি টাকা ব্যয়ে দরপত্র আহ্বান ও ঠিকাদার নিয়োগের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছেন বলেও জানান তিনি।
0Share