নিজস্ব প্রতিনিধি : কেন্দ্রীয় বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক এমপি শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী বলেছেন, লক্ষ্মীপুরসহ সারাদেশে র্যাবের হাতে বহু বিএনপি ও বিরোধীদলীয় নেতাকর্মী খুন, গুম ও গুলিবিদ্ধ হয়ে পঙ্গু হয়েছে। সাধারন মানুষের কাছে র্যাব এখন একটি আতংকের নাম। তারা এখন পেশাদার খনীতে পরিনত হয়েছে। তাই এ বাহিনীকে বিলুপ্ত করতে হবে।
বুধবার বিকেলে শহরের সোনামিয়া ঈদগাঁহ মাঠে জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক ও সাহাবউদ্দিন এর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, গত ডিসেম্বর থেকে লক্ষ্মীপুরে বিএনপির রাজনৈতিক কর্মকান্ড প্রায় বন্ধ হয়ে পড়ে। বিএনপি নেতা সাহাবউদ্দিন সাবুর সংবর্ধনার মধ্যে দিয়ে দলীয় শক্তির মধ্য দিয়ে পুনরায় রাজনৈতিক কর্মকান্ড উজ্জবীত হয়েছে।
জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি আবুল খায়ের ভূইয়ার সভাপতিত্বে দলের সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট হাসিবুর রহমানের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক সাহাবউদ্দিন সাবু, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও কমলনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট সৈয়দ মোহাম্মদ সামছুল আলম,বিএনপি নেতা সিরাজুল ইসলাম, এডভোকেট হাফিজুর রহমান, এডভোকেট হারুনুর রশিদ ব্যপারী, নিজাম উদ্দিন ভূইঁয়া, কেন্দ্রীয় যুবদল নেতা ঈমাম হোসেন,ভিপি হারুনুর রশিদ, জেলা যুবদলের সভাপতি রেজাউল করিম লিটন ও সাইফুল ইসলাম শাহীন,জেলা ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক মাহাবুবুল আলম মামুন প্রমুখ।
উল্লেখ্য যে, গত ১২ ডিসেম্বর ভোরে জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক সাহাবউদ্দিন সাবুর শহরের উত্তর তেমুহনীর বাস ভবনে র্যাব অভিযান চালায়। এ সময় র্যাবের গুলিতে সাহাবউদ্দিন সাবু গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। পরে চকবাজার এলাকায় র্যাবের এলোপাতাড়ি গুলিতে ইকবাল মাহমুদ জুয়েল গুলিবিদ্ধ হয়। কিছুক্ষন পরে র্যাব তাকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ রয়েছেন। জুয়েলকে তুলে নেয়ার খবরে শহর জুড়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা বিক্ষোভে নেমে পড়ে। এসময় র্যাবের সাথে কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়। পরে র্যাবের এলোপাতাড়ি গুলিতে বিএনপি নেতা মাহাবুবুর রহমান,সুমন ও শিহাব হোসেন অজ্ঞাত একজনসহ ৪জন নিহত ও ১৯দলের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
0Share