জিল্লুর রহমান,ঢাকা: বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো রবিবার বাংলাদেশেও আন্তর্জাতিক নদী দিবস পালিত হবে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হল—নদীর তীর ফিরিয়ে দাও।
আন্তর্জাতিক নদী দিবসে বাংলাদেশের শত নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ ঠিক রাখাসহ নদীকে দখল এবং দূষণমুক্ত রাখার দাবীতে শনিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে সামনে আয়োজিত মানব বন্ধনে দেশের পরিবেশবাদী ৩৬টি সংগঠনের সাথে একাত্মতা ঘো্ষনা করে “ডাকাতিয়া সুরক্ষা আন্দোলন”।
এ সময় অন্যান্য সংগঠনের সাথে মানববন্ধনে অংশ গ্রহন করে বক্তব্য রাখেন,”ডাকাতিয়া সুরক্ষা আন্দোলনের সদস্য সচিব জিল্লুর রহমান। তিনি তার বক্তব্যে ডাকাতিয়া নদীর সুরক্ষার্থে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন ও ডাকাতিয়াকে রক্ষার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে আহবান জানান।
অন্যদিকে একই সময়ে বাপা সাধারণ সম্পাদক ডা. আবদুল মতিন বলেন, নদী বিপর্যয়ের মূল কারণগুলো হচ্ছে স্থানীয় প্রভাবশালী, রাজনৈতিক নেতা-কর্মী, জনপ্রতিনিধি বা তাদের স্বজন বা নামধারী, শিল্পমালিক, ব্যবসায়ী, ক্ষমতাবান, সন্ত্রাসী, সরকারি বা বেসরকারি দফতর বা শিল্পকারখানা, শিল্প বর্জ্য, গৃহস্থালি বর্জ্য, হাসপাতাল বর্জ্য, ইটিপি নেই, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অপরিকল্পিত বাঁধ ও স্লুইসগেট নির্মাণ, কম উচ্চতার সেতু, কালভার্ট, রাস্তা, বালু উত্তোলন ইত্যাদি।
শুধু দখল-দূষণ নয়, নদীর উজানে বাঁধ দেওয়ায় তীরের ভাঙন তীব্র হচ্ছে। কোথাও শুকিয়ে নদীর মৃত্যু হচ্ছে বলে জানান প্রাণ ও প্রতিবেশ সংরক্ষণ বিষয়ক গবেষক পাভেল পার্থ।
তবে দখল-দূষণ বাড়ার পাশাপাশি দেশে নদী রক্ষায় সচেতনতাও বেড়েছে। তীর দখল ও দূষণ থেকে নদী রক্ষার অঙ্গীকার নিয়ে মাঠে নেমেছে ৩৬টি নদী ও পরিবেশ বিষয়ক সংগঠন।
অন্যদিকে নদী রক্ষায় কর্মরত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রিভারাইন পিপলের প্রতিষ্ঠাতা শেখ রোকন বলেন, নদী বাঁচাতে হলে প্রথমে তার তীর রক্ষা করতে হবে।
প্রসঙ্গত নদী দখল ও দূষণের বিরুদ্ধে জনমত গড়তে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ‘বিশ্ব নদী দিবস’ পালিত হয়। কানাডার নদী সংরক্ষণ কর্মী ড. মার্ক অ্যাঞ্জেলো নদী দিবসের প্রতিষ্ঠাতা। ১৯৮০ সালে নদী দিবসের দাবি জানান তিনি। পরে জাতিসংঘ ২০০৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসের শেষ রবিবার ‘বিশ্ব নদী দিবস’ ঘোষণা করে। গত বছর বিশ্বের ৭০টি দেশে দিবসটি পালিত হয়
0Share