জামাল উদ্দিন রাফি: ‘তথ্য অধিকার আইন ২০০৯’ ও তার বাস্তবিক প্রয়োগ, কিভাবে সাধারণ জনগণ উক্ত আইন থেকে সুবিধা নিতে পারে, কিভা্বে উক্ত আইন বাস্তবায়নের মাধ্যমে দুর্নীতিকে প্রতিরোধ করা যায়, সেই লক্ষকে সামনে রেখে ২৮ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক তথ্য জানার অধিকার দিবস ২০১৪ উপলক্ষে সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) ও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) লক্ষ্মীপুর এর উদ্যোগে এবং জেলা প্রশাসন, লক্ষ্মীপুর এর সহযোগিতায় পালিত হয় আন্তর্জাতিক তথ্য জানার অধিকার দিবস ২০১৪।
রবিবার সকালে সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে র্যালি বের করে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক এর কার্যালয় গিয়ে র্যালী শেষে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠান হয় ।
এতে সনাক সভাপতি প্রফেসর মাহ্বুব মোহাম্মদ আলীর সভাপত্বিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক এ কে এম টিপু সুলতান,বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন ডা: মো: গোলাম ফারুক ভূইয়া, সহকারী পুলিশ সুপার (সদর) মো: নাসিম মিয়া।
আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুহাম্মদ শাহাদাত হোসাইন, তথ্য অফিসার মো: আবদুল্লাহ আল মামুন,সহকারী জেলা প্রাথমিক অফিসার মুহাম্মদ মোছাদ্দেক, তথ্য অফিসার জামাল হোসেন মোল্লাসহ সরকারী বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, সনাক, ইয়েস, স্বজন, ইয়েস ফ্রেন্ডস সদস্যবৃন্দ, টিআইবির প্রতিনিধিবৃন্দ সহ, স্বাস্থ্য বিভাগ, লক্ষ্মীপুর এর বিভিন্ন কর্মকর্তা, প্রিন্ট ও ইলোক্টনিক্স মিডিয়ার প্রতিনিধিবৃন্দ ।অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সনাক সদস্য মোহাম্মদ আবুল মোবারক ভূইয়া
বক্তারা তাদের আলোচনায় বলেন, তথ্য জানার অধিকার সকল জনগনের আইনগত অধিকার। কিন্তু উক্ত আইন সম্পর্কে জনগণ এখনও পুরোপুরি সচেতন নয় যার ফলে জনগণ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সেবা নিতে গিয়ে তথ্যের অভাবে নানারূপ দুর্নীতির স্বীকার হয়।
কারন তথ্যই শক্তি, জনগণ তথ্য সম্পর্কে যত বেশি সচেতন হবে দুর্নীতি ততই হ্্রাস পাবে। তাই নিজ উদ্যোগেই জনগণকে আরো বেশি তথ্য অধিকার আইন সম্পর্কে জানতে হবে এবং তা প্রয়োগে সকলকে সক্রিয় হতে হবে। নিজে জানতে হবে অন্যকে জানাতে হবে। বক্তারা উল্লেখ করেন, এই আইন সম্পর্কে যেমন জনগণকে সচেতন হতে হবে তেমনি অনেক সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীগণও উক্ত আইন সম্পর্কে পরিস্কার ধারনা নেই।
তাই তাদের কাছে তথ্য চাইলে অনেক সময় তথ্য দিতে অগ্রাহ্য করে অথবা গুরুত্ব দেয় না। সুতরাং সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের আরো বেশি সচেতন হওয়া প্রয়োজন।
এজন্য প্রত্যেক অফিসে একজন করে দায়িত্বপ্রাপ্ত তথ্য কর্মকর্তা থাকার কথা আইনে উল্লেখ থাকলেও বাস্তবে পাওয়া যায় না। এটি দ্রুত বাস্তবায়নে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। তাহলেই তথ্য অধিকার আইন এর সুফল জনগণ পাবে এবং দুর্নীতির হাত থেকে সমাজ ও রাষ্ট্রকে বাঁচানো সম্ভব হবে। অন্যদিকে একজন বক্তা উক্ত আইন অনুযায়ী সফলভাবে তথ্য প্রাপ্তিতে তার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে বর্ণনা করেন।
এ ছাড়াও প্রত্যেক বক্তারা সনাক এবং টিআইবি’র দুর্নীতি বিরোধী সামাজিক আন্দোলনের প্রতি দৃঢ় সমর্থন প্রকাশ করেন এবং ভবিষ্যতে এ আন্দোলনকে আরো বেগবান করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সহযোগিতারও আশ্বাস প্রদান করেন। র্যালিতে সনাকের পক্ষ থেকে উক্ত দিবস সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করার লক্ষে একটি ১৫০ কপি ধারনাপ্রত্র ও ১৫০ কপি ‘তথ্যই শক্তি’ লিফলেট জনগণের মধ্যে বিতরণ করা হয়।
0Share