লক্ষ্মীপুরটোয়েন্টিফোর প্রতিবেদন: ঘূর্ণিঝড় ‘হুদহুদ’র প্রভাবে উপকূলীয় জেলা লক্ষ্মীপুরে শনিবার বেলা ১১টা থেকে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে । সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় এ প্রতিবেদন লেখার সময় জেলার রামগতি ও কমলনগরের আকাশেভারী মেঘসহ থেমে থেমে বিদ্যুত চমকাচ্ছিল।
ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাসের কারণে রামগতি ও কমলনগরের বেঁড়িবাধহীন নদী পাড়ের সাধারণ মানুষ আতংকে আছেন বলে মোবাইল ফোনে জানিয়েছেন, কয়েকজন বাসিন্ধা।
সন্ধ্যায় উপকূলীয় বাসিন্ধাদের কে প্রয়োজনীয় কাজ দ্রুত শেষ করে বাড়ি ফিরে যেতে দেখেছেন বলে জানিয়েছেন, মেঘনাপাড় মতিরহাটের বাসিন্ধা হুমায়ুন কবির ও হাসান ।
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে উপকূলের অন্যান্য জেলার সাথে লক্ষ্মীপুরের বিশেষ করে রামগতি, কমলনগর, রায়পুর এবং সদরের চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ১-৩ ফুটের বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা সমুদ্র বন্দরকে ০৩ (তিন) নম্বর স্থানীয় সর্তকতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ওয়েব সাইট ( http://www.bmd.gov.bd/Content.php?MenuId=45&SubMenuId=59 ) থেকে জানা যায়,
‘হুদহুদ’ শনিবার বিকাল ৩টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৭০ কি. মি. দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৭৫ কি. মি. দক্ষিণপশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৮০ কি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কি. মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৫০ কি. মি.। যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া আকারে ১৭০ কি. মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
নিষিদ্ধ সময়ের কারণে মেঘনায় মাছ ধরার কোন নৌকা নেই । তবে অন্যান্য নৌকা ও ট্রলারগুলোকে দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে। এছাড়া পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
রোববার দুপুর নাগাদ ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ ও ওড়িষ্যায় আঘাত হানবে হুদহুদ।
0Share