নিজস্ব প্রতিনিধি: বিয়ের কেনাকাটাও সম্পন্ন। পাত্রী পছন্দের পর্বটিও শেষ। বাড়িতে বিয়ের উৎসবের আমেজ। পরিবার-স্বজনদের মধ্যে বইছে আনন্দের বন্যা। অপেক্ষা শুধু পাত্রের জন্য। শুক্রবার দুপুরে বাজতো তার বিয়ের সানাই। কিন্তু পরিবারের সব উৎসব-আনন্দকে বিষাদে পরিণত করেছে । কারন একটাই। বাল্য বিবাহ। যা আমাদের দেশের জন্য অভিশাপ।
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার মান্দারী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী জান্নাতুল ফেরদাউস (১৪) বাল্যবিবাহ বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
শুক্রবার দুপুরে মেয়েদের বাড়িতে এ বিয়ে হবার কথা ছিল। কিন্তু মেয়েটির ক্লাসের সহপাঠিরা ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের লিখিত আবেদনের প্রেক্ষিতে সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) চেয়ারম্যানকে পাঠিয়ে এ বিবাহ বন্ধ করে দেন। ফলে বাল্যবিবাহের অভিশাপ থেকে রক্ষা থেকে মেধাবী মেয়েটি।
মান্দারী উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন জানান, দত্তপাড়া ইউনিয়নের করইতোলা গ্রামের জিল্লাল হোসেনের মেয়ে ও মান্দারী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী জান্নাতুল ফেরদাউসের সঙ্গে একই ইউনিয়নের বটতলী গ্রামের শফিউল্যার ছেলে প্রবাসী ফেরত রসুল আমিনের (৩২) শুক্রবার বিয়ের দিন ঠিক করে।
মেয়েটিকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক তার মা জাহানার বেগম বিয়ে দেয়ার ঘটনায় মেয়েটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহপাঠিদের জানালে তারা বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আজিজুর রহমানকে জানান। তিনি তাৎক্ষণিক দত্তপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বেলাল হোসেনকে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিলে ইউপি চেয়ারম্যান বিকেলে গিয়ে মেয়েটির অবিভাবকদের বাল্যবিবাহ বন্ধ ঘোষণা করে মুছলেকা নিয়ে আসে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আজিজুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, লিখিত আবেদন পেয়ে চেয়ারম্যানের সহযোগিতা বাল্য বিবাহটি বন্ধ করা হয়েছে।
যদি তারপরও আয়োজন করে তা হলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জেল ও জরিমানা করা হবে আয়োজকদের বিরুদ্ধে।
0Share