নিজস্ব প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুর জেলা ফাউন্ডেশনের খরচে ২ গরিব মেধাবী ছাত্র মেডিকেল কলেজে ভর্তি হবার সুযোগ পেতে যাচ্ছে। ওই দুই মেধাবী ছাত্র হলেন, সাতক্ষীরার শফিক ইসলাম ওরফে শাহেদ তিনি ভর্তি হবেন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ এবং চুয়াডাঙ্গার তরিকুল ইসলাম ভর্তি হবেন ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে।
৩০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দৈনিক প্রথমআলো পত্রিকায় “মায়ের স্বপ্ন পূরণ হবে তো?” এবং “অনিশ্চয়তা পিছু ছাড়েনি তরিকুলের?” এমন দুটি শিরোনামের সংবাদ দেখে রায়পুরের সামাজিক সংগঠন সম্ভাবনার রায়পুর লক্ষ্মীপুর জেলা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান জনাব সোলায়মান রুবেল কে বিষয়টি জানালে তিনি তাৎক্ষণিক দু মেধাবী ছাত্রের ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে এই মানবিক সহায়তার কথা ঘোষণা দেন।
সোলাইমান রুবেল মোবাইল ফোনে লক্ষ্মীপুরটোয়েন্টিফোর ডটকমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আমাদের
লক্ষ্মীপুর জেলা ফাউন্ডেশন ও সামাজিক সংগঠন সম্ভাবনার রায়পুরের পক্ষ থেকে দৈনিক প্রথম আলোর যশোর এবং চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধির সাথে কথা বলে সহায়তার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দু জন কে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরো জানান সহায়তা হিসাবে প্রথমে আমরা ওই দুমেধাবী কে মেডিকেলে ভর্তির খরচ এবং পরবর্তীতে মাসিক হাত খরচের টাকা লক্ষ্মীপুর জেলা ফাউন্ডেশন থেকে বহন করবো। লক্ষ্মীপুর জেলার এমন কোন সন্তান থাকলে তাদের ক্ষেত্রেও একই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রথম আলোর ওই প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সাতক্ষীরার জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার মো. শফিক ইসলাম ওরফে শাহেদকে মাত্র ১৩ মাস বয়সে তার বাবা ফেলে চলে যান । পরবর্তীতে তার মা সাতক্ষীরা ছেড়ে যশোর গিয়ে শাড়ি কাপড় ফেরি করে শাহেদ কে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পাস করান।
সেই ছেলে এ বছর মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে মেধাতালিকায় ৬৭৩ নম্বর পেয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। কিন্তু ভর্তি হতে ২০ হাজার টাকা সে জোগাড় করতে পারেনি। সেই টাকার জন্য চড়া সুদের ঋণ পেতে তিনি বেসরকারি সংস্থা ও সমিতির দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। কয়েকটি সমিতি টাকা না দেওয়ার কথাও জানিয়ে দিয়েছে।
এ সংবাদটি যশোর অফিসের বরাত দিয়ে দৈনিক প্রথম আলো ৩০ অক্টোবর তারিখে প্রকাশ করে।
অন্যদিকে অনিশ্চয়তা পিছু ছাড়েনি তরিকুলের? এমন শিরোনামে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার চিতলা ইউনিয়নের কয়রাডাঙ্গা গ্রামের ব্রিজপাড়ার বাসিন্দা এবং রাশিয়া বেগমের ছেলে তরিকুল ইসলাম এ বছর ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। তাঁর মেধাক্রম ২৩০২। রাশিয়া বেগম অন্যের বাড়িতে গৃহপরিচিকার কাজ করে তার ছেলে কে লেখাপড়া চালিয়ে যা”্ছনে।
এ সংবাদটি ও চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধির বরাত দিয়ে দৈনিক প্রথম আলো ৩০ অক্টোবর তারিখে প্রকাশ করে।
0Share