নিজস্ব প্রতিনিধি: সদর উপজেলার হাজিরপাড়া বাজার এলাকা থেকে গ্রাহকদের অর্ধকোটি টাকা নিয়ে উধাও হয়ে গেছে পাবলিক ওয়েল ফেয়ার অর্গানাইজেশন (পিডব্লিউও) নামে একটি এনজিওর কর্মকর্তার। এ ঘটনায় এনজিও
কর্মকর্তাদের ব্যবহৃত ভবনের মালিক সৌদি প্রবাসী আনোয়ার হোসেনের ভাই হোসেন আহমদ চন্দ্রগঞ্জ থানায় অভিযোগ করেছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, পাবলিক ওয়েল ফেয়ার অর্গানাইজেশন (পিডব্লিউও), রেজিস্টার্ড কার্যালয়, উত্তর রাজাসন, বিরুলিয়া, সাভার-ঢাকা, গর্ভ রেজিঃ নং-এস-৯৬০২ (৮৩২) ২০০৯, এনজিওর লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার হাজিরপাড়াস্থ শাখা অফিসে তালা ঝুলছে। সামনে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের ভিড়। তবে কেউ অফিসের ভেতরে প্রবেশ করতে পারছেন না।
বাড়ির মালিক আনোয়ার হোসেনের ভাই হোসেন আহম্মদ জানান, এক মাস আগে ২০ হাজার টাকা করে মাসিক অফিস ভাড়া নেয় ওই এনজিওর শাখা ম্যানেজার আহাদ হোসেন, দিদার হোসেন ও মিজানুর রহমান। অফিস ভাড়া নেয়ার পর থেকে কার্যক্রম শুরু করেন তারা। গত রোববার থেকে অফিসে তালা ঝুলছে। কর্মকর্তাদের মোবাইল ফোনও বন্ধ রয়েছে। এ ব্যাপারে তিনি চন্দ্রগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ করেছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহক ও হাজিরপাড়া এলাকার আবদুল মতিন, মাহামুদ, জামাল উদ্দিন, আলমগীর হোসেন জানান, হাজিরপাড়া, চরচামিতা, মিরপুর, চন্দ্রগঞ্জ এলাকাসহ আশপাশের এলাকা থেকে ঋণ দেয়ার কথা বলে প্রায় ৩শ’ গ্রাহকের কাছ থেকে এক হাজার টাকা থেকে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত সঞ্চয় জমা নেয় এনজিও কর্মকর্তারা। গত রোববার থেকে তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনগুলো বন্ধ রয়েছে।
স্থানীয় হাজিরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য কাজী নিজাম উদ্দিন জানান, এনজিওর সদস্য সংখ্যা ৩শ’। প্রত্যেক সদস্যকে ঋণ দেয়ার কথা বলে এককালীন এক হাজার টাকা থেকে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়েছে কর্মকর্তরা। এতে গ্রাহকদের প্রায় অর্ধকোটি টাকা এনজিও কর্মকর্তাদের কাছে রয়েছে।
সদর উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন জানান, এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে সমবায় অধিদ্প্তরের মাধ্যমে এনজিওর নিবন্ধন বাতিলসহ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির জানান, এ ব্যাপারে হোসেন আহমদ চন্দ্রগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
0Share