নিজস্ব প্রতিবেদক,লক্ষ্মীপুরটোয়েন্টিফোর: যেখানে নারীরা পিছিয়ে থাকতে হতো । হতো অন্যের প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করে মজুরি ব স্বীকার বৈষম্যর আজ সেই মুহুর্তেই আন্যের প্রতিষ্ঠানে চাকুরি না করে তথ্য প্রযুক্তির যুগে
কম্পিউটার তথ্য প্রযুক্তিতে বিষয়ে নারীদের প্রশিক্ষণ দিয়েও আতœনির্ভশীল করার কথা ভাবছেন লক্ষ্মীপুরে এগিয়ে যাওয়া নারী আইরিন। আর তার প্রতিষ্ঠানে গত কয়েক বছরে প্রশিক্ষণ নিয়ে সমাজে সরকারি ও বেসরকারি ুপ্রতিষ্ঠানে চাকুরি নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন শতাধিক নারী ।
লক্ষ্মীপুরে স্থাপিত আইরিন কম্পিউটার এন্ড ট্রেনিং সেন্টারের সত্ত্বাধীকারী আইরিন সুলতানা নারীদের তথ্য প্রযুক্তিকে এগিয়ে নিতে নারীদের জন্য ট্রেনিং সেন্টারের উদ্যেগ নেওয়া হয়।তিনি ২০১২ সালে মজু মার্কেট, ঝুমুর এলাকায় কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ে ট্রেনিং এর কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
এর আগে তিনি ২০১০ শ্যামলী আইডিয়াল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে ডিপ্লোমা ইন ইনঞ্জিনিয়ারিং কম্পিউটার বিভাগ থেকে পড়া শোনা শেষ করেন এবং তথ্য প্রযুক্তি ও ডিজিটাল বাংলাদেশে গড়ার লক্ষে নারীদের উদ্বুদ্ধ ও আর্তনির্ভশীল করতে নারীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে দেয়ার স্বপ্ন দেখতেন আইরিন।পরে তা তিনি বাস্তবায়নে রুপ নিতে নিজের মালিকানায় প্রশিক্ষণ সেন্টার চালু করেন। তার প্রশিক্ষণ সেন্টারে বিনামূল্যে শেখার ব্যবস্থা করেন নারীদের। কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ে ফ্রি ব্যবস্থা থাকায় তখন নারীরা উদ্বুদ্ধ হন তার ট্রেনিং সেন্টারে ভর্তি হতে।
শিক্ষার্থী দীপা রানী পাল জানান, আমি কৃতজ্ঞ আইরিন ম্যাডামের নিকট। তার প্রত্ষ্ঠিানে কম্পিউটার শিখতে পেরে আজ আমি চাকুরীজীবি। আমার মত এ প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি শিখে অর্ধ শত নারী শিক্ষার্থী সরকারি বে-সরকারি প্রতিষ্ঠানে রয়েছেন কর্মজীবি। তিনি এখন আমারসহ সকলের নিকট নারীদের মুখে আইরিন ম্যাডাম,আইরিন স্যার।
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বাঞ্চানগর গ্রামের আলী আকবর এর ছোট মেয়ে হলেও নারীদের নিয়ে বড় স্বপ্ন তাঁর । ২০১১ সালে বিয়ে হয় তার। বিয়ের পর যেখানে তার থেমে যাওয়ার কথা,তার বেলায় ঘটেছে উল্টো। এদিকে স্বামীর সংসারে অন্যান্য কাজকর্ম সেরেও নারী প্রশিক্ষণে সময় দেন তার প্রতিষ্ঠিত আইরিন কম্পিউটার এন্ড ট্রেনিং সেন্টারে।
আইরিন যখন নারীদের প্রশিক্ষণ সহ বিভিন্ন কর্ম কান্ডে সমাজের নারীদের প্রতিষ্ঠা করার চিন্তা করেন। তখন তার মতের সাথে একত্র হয়ে বাধা না দিয়ে নারীদের উন্নয়নে এগিয়ে আসেন তার স¦ামী মাহাবুবের রহমান ।
লক্ষ্মীপুর শহরে প্রতিষ্ঠিত মজু মার্কেট, ঝুমুর এলাকায় আইরিন পরিচালিত আইরিন কম্পিউটার এন্ড ট্রেনিং সেন্টারটি ইতো মধ্যেই নারীদের মাঝে ব্যাপক সাড়া জাগায়। এই ট্রেনিং সেন্টারে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর ও ল্যাপটপের মাধ্যমে নারীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা চলে সাপ্তাহের ছয়দিন ।
নারী প্রশিক্ষণে এই ধরনের ব্যবস্থা লক্ষ্মীপুর জেলায় প্রথম জানান এ প্রতিষ্ঠানটির প্রধান আইরিন সুলতানা । তিনি আরো জানান, এই কাজে স্বামী ও তার শ্বশুর বাড়ীর বাধা না থাকায় উৎসাহিত হয়ে নারী সমাজকে আরো প্রশিক্ষিত করার জন্য তথ্য প্রযুক্তির উপর আরো বিভিন্ন বিয়য়ের প্রশিক্ষণ নেয়ার ও আর্থিক সরকারি সহযোগিতা চান তিনি।
আইরিন সুলতানা বলেন,তার মতো সমাজে নারীরা ঘরে বসে না থেকে লোক জনের কুটুক্তি না শুনে নিজেকে বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত হয়ে কাজ করার আহবান জানান তিনি।
আইরিন কম্পিউটার এন্ড ট্রেনিং সেন্টারের স্বত্বাধিকারী আইরিন সুলতানার স্বামী মাহাবুবের রহমান জানান, শিক্ষা জীবনে আমারও স্বপ্ন ছিল নারী উন্নয়নে কাজ করার।সমাজে নারীদের তথ্য প্রযুক্তির যুগে আমার স্ত্রী যে কাজ করছে তা বাধা নাদিয়ে আমার মতো সকলকে এ কাজে উৎসাহিত করা উচিত বলে জানান তিনি।
0Share