নিজস্ব প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরে র্যাবের অভিযানে সিএনজি ছিনতাই চক্রের ৭ সদস্য কে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত ২ দিন যাবত কুমিল্লা, চাঁদপুর ও নোয়াখালি জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ছিনতাই চক্রের এ ৭ সদস্যকে আটক গ্রেফতার করা হয়। এ সময় ১ টি সিএনজি ও নগদ ৫০
হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। আটকৃতরা হলো ঢাকার শুকুর আলী (৪৭),নোয়াখালীর চরবাটার বাবুল চন্দ্র মজুমদার (৪০) কুমিল্লার পলাশ হোসেন (২২) চাদঁপুরের মোঃ মশিউর রহমান (৫৩), মোঃ গিয়াস উদ্দিন (৩২), মোঃ জিল্লুর রহমান (৩০), মোঃ তাজুল ইসলাম (৫৫)।
র্যাবের অভিযানিক দল জানায় আটককৃতদের মধ্যে শুক্কুর ও বাবুল প্রাথমিক পর্যায়ে সিএনজি চালকদের কৌশলে কিছু খাইয়ে তাদের অজ্ঞান করে যেকোন একস্থানে তাকে রেখে সিএনজি নিয়ে পালানোর কাজ করে। সিএনজি চুরির পর পলাশ সেটা চালিয়ে নিয়ে বাবুর গ্যারেজে নিয়ে যায় এবং সেখানে ইঞ্জিন/চেসিস নাম্বার পরিবর্তন করাসহ যেকোন পরিবর্তন/পরিবর্ধন এর কাজ করা হয়।
গিয়াস ঐ সব চোরাই সিএনজি বেচা কেনার দালালি করে। তাকে সহায়তা করে গ্যারেজের মালিক বাবু (গিয়াসের মামা)। তাজুল এসব চোরাই সিএনজির ক্রেতা এবং মশিউর চোরাই সিএনজি’র ক্রেতার পক্ষ হয়ে কাগজপত্র যাচাই বাছাই এর কাজ করে। এই চক্রের সবাই মিলে একযোগে দীর্ঘদিন ধরে লক্ষীপুর, নোয়াখালি, চাঁদপুর, কুমিলা ও নারায়ণগঞ্জ এলাকায় এই চোরাই সিএনজি’র কাজ করে আসছিল। আসামীদের আটক করার পর জিজ্ঞাসাবাদে তারা পুরচক্রের এসব কাজের কথা স্বীকার করেছে।
র্যাব-১১ দীর্ঘদিন ধরে এই সঙ্গবদ্ধ দলের পিছনে নজরদারী অব্যাহত রেখে এবং সংশিষ্ট তথ্য যাচাই বাছাই করে নিশ্চিত হয়ে ৪জুন তারিখ রাত হতে গতকাল রাত পর্যন্ত একটানা অভিযান পরিচালনা করে এসব উদ্ধার ও আটক সম্পন্ন করে। এ কাজে সংশিষ্ট ২ জন পলাতক আসামীও রয়েছে, যারা হলেন আব্দুল মতিন, থানা-মেঘনা, জেলা-কুমিলা ও মজিবুর রহমান, পিতা-মৃত রফিক হাওলাদার, সাং-পাকদি,জেলা-মাদারিপুর।
কিন্তু তারা দুজনই বর্তমানে ঢাকার কেরানিগঞ্জ এলাকায় বসবাস করছে। গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে লক্ষীপুর জেলার সদর থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
0Share