তাবারক হোসেন আজাদ: গত ৪৫ বছর নিজেদের তৈরি বাশের সাঁকোটি দিয়ে স্কুলের কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীসহ প্রায় ২০ হাজার গ্রামবাসী ঝুকি পারাপার হয়ে আসছিল। অবশেষে সাঁকোটির পাশে ৩৮ লক্ষ টাকা ব্যায়ে ব্রিজটির নির্মান কাজ শুরু হয়। কিন্তু ব্রিজটি নির্মান কাজ শুরু হওয়ার ৬ মাসেও তা না হওয়ায় দুর্ভোগে
পোহাতে হচেছ গ্রামবাসীকে। এই ব্রিজটি হচ্ছে লক্ষ্মীপুরের রায়পুুর উপজেলার ২নং উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের হাওলাদার এলাকার। দ্রুত ব্রিজটি নির্মানের জন্য গ্রামবাসীরা উপজেলা চেয়ারম্যান ও এলজিইডি কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানালেও নদীতে পানি থাকায় নির্মান কাজ স্থগিত রয়েছে বলে তারা জানান।
রায়পুর উপজেলা এলজিইডি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত জুন মাসে লক্ষ্মীপুর এলজিইডি বিভাগ থেকে অনলাইনে দরপত্রের মাধ্যমে প্রায় ৩৮ লক্ষ ব্যায়ে কাজটি পান চাঁদপুরের চর ভৈরবী এলাকার যুবলীগ নেতা শিমুল চৌধুরীসহ দু’জন ঠিকাদার। ব্রিজটি নির্মান কাজ যথাসময়ে শুরু হলেও ডাকাতিয়া নদীতে পানি বৃদ্ধি হওয়ায় তা স্থগিত রাখা হয়েছে। সিডিউল অনুযায়ী আগামী জুন মাসের মধ্যেই এ ব্রিজের নির্মান কাজ শেষ করার জন্য ঠিকাদারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ওই ব্রিজ সংলগ্ন চরবংশী হাওলাদার সঃপ্রাঃবি’র প্রধান শিক্ষক আব্দুস সোবহান বলেন, এই বিদ্যালয়ে পাঁচশ শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রায় দুইশ শিশু শিক্ষার্থী বাশের সাঁকোটি দিয়ে নদী পারাপার হয়।এতে শিশু বৃদ্ধসহ প্রায় পঞ্চাশ জন নদীতে পড়ে মারাতœকভাবে আহত হয়। সাঁকোটির পাশে একটি ব্রিজ নির্মানের জন্য কয়েকবার সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করার পর অবশেষে ব্রিজ নির্মানের কাজ গত জুন মাসে শুরু হয়। প্রায় ৬ মাস নির্মান কাজ বন্ধ রয়েছে। দ্রুত ব্রিজটি নির্মানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে অনুরোধ জানাই।
ব্রিজ নির্মানের কাজ বন্ধ বিষয়ে ঠিকাদার চর ভৈরবীর যুবলীগ নেতা শিমুল চৌধুরী সাথে যোগাযোগ করা হলে তার বক্তব্য নেওয়া সম্বভ হয়নি।
উপজেলা প্রকৌশলী আক্তার হোসেন ভূইয়া বলেন, যথাসময়ে ব্রিজটি নির্মান কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু ডাকাতিয়া নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্রিজটির নির্মান কাজ স্থগিত রাখা হয়েছে।
0Share