এমআর সুমন: দরপত্র আহ্বানের তিন বছর পরও রায়পুর উপজেলার চরবংশী-চররুহিতা পর্যন্ত এক কিলোমিটার সড়কটিতে কিছু ইটের খোয়া বিছিয়ে রাখা হয়েছে। এতে ধুলার কারণে সড়কের দুই পাশের ফসলের খেত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ভোগান্তিতে পড়ছেন সাধারণ লোকজন। ২০১৯ সালে শুরুতে প্রায় ৬১ লাখ টাকা ব্যয়ে শুরু হয় ওই সড়কের সংস্কার কাজ।
একাধিক বার সময় বাড়িয়ে তিন বছরেও শেষ হয়নি বেহাল দশার চরবংশী-চররুহিতা সড়কের সংস্কার কাজ। এলজিইডি কর্তৃপক্ষের গাফিলতি ও উদাসীনতাকে দায়ী করছেন ভুক্তভোগীরা। উপজেলা এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা যায়, রায়পুর চরবংশী ও সদর উপজেলার চররুহিতা সীমানা পর্যন্ত সড়কটির ১ কিলোমিটার পড়েছে রায়পুর উপজেলার অংশে। দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে ওই সড়কে অসংখ্য খানাখন্দে পানি জমে অচলাবস্থার সৃষ্টি হলে ২০১৮ সালে শেষের দিকে সড়কটি সংষ্কার উন্নয়নে টেন্ডার হয়। ৬১ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়কের নির্মানের কাজটি পান মেসার্স মেহেদী এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী শিশির পাঠান।
২০১৯ সালে শুরুতে সড়কে কিছু ইটের খোয়া বিছিয়ে উন্নয়ন কাজ শুরু করেন। ২০১৯ সালের আগস্টের মধ্যে কাজ সমাপ্ত করার কথা থাকলেও ঠিকাদারের অপারগতায় একাধিক বার সময় বাড়ানো হয়। কিন্তু তিন বছরে ১ কিলোমিটার পরিমাণ সড়কে সুরকি ফেলে শুধু রোলিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে। দীর্ঘ সময়েও সংস্কার কাজ শেষ না হওয়ায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও এলজিইডি কর্তৃপক্ষের ওপর ক্ষুুব্ধ এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগীরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলজিইডি এক কর্মকর্তা জানান, জিএনপি-৩ প্রকল্পের আওতায় উপজেলার সবগুলো সড়কের সংষ্কার কাজ আরও এক বছর আগেই শেষ হয়েছে। প্রকল্পের মেয়াদও শেষ ২০২১ সালের জুনে। তাই প্রকল্পের মেয়াদ শেষের আগেই ইটের খোয়া বিছানোর কাজ শেষ করে পিচ দেওয়ার কথা। কিন্তু গত তিন বছরেও শেষ হয়নি কাজটি। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন কৃষক ও পথচারীরা।
স্থানীয় ব্যাংকার জাকির হোসেন বলেন, গত ৫ বছর ধরে অসহনীয় ভোগান্তির শিকার আমরা। এর শেষ কোথায় জানি না। তবে এলজিইডি কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণেই গত তিন বছরেও শেষ হয়নি চরবংশী-চররুহিতা সড়কের নির্মাণকাজ। বিষয়টি উপজেলা ও জেলা এলজিইডি কর্মকর্তাদের বলেও কোন সমাধান পায়নি আমরা এখনও।
ঠিকাদার শিশির পাঠান বলেন, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এ রাস্তার কাজটি তিনি ফরিদা এন্টারপ্রাইজের মালিক জাহাঙ্গীর হোসেনের কাঝে বিক্রি করে দিয়েছেন। এলজিইডির অর্থের সংকুলানসহ নানা জটিলতায় সাফ ঠিকারদার কাজটি শেষ করতে পারেননি। তবে দ্রুত কাজ শেষ করবেন।
রায়পুরের এলজিইডির উপসহকারী প্রকৌশলী মো. তাজল ইসলাম বলেন, আখনবাজার থেকে চররুহিতা বাজার পর্যন্ত রাস্তাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কারণে মূলত সড়ক উন্নয়ন কাজের বিলম্ব ঘটছে। দ্রুত গতিতে কাজ না করায় তাদের বিল আটকে রাখা হয়েছে। তবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
0Share