নিজস্ব প্রতিবেদক | লক্ষ্মীপুরটেোয়েন্টিফোর
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইমরান খানকে বদলির আদেশের প্রতিবাদে প্রায় দুই ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখে ছাত্র-জনতা। এ সময় তারা ইউএনওকে তার দায়িত্বে পুনর্বহালের দাবি জানায়। একইসঙ্গে ইউএনওকে বদলি করা যাবে না বলে জেলা প্রশাসকের পাঠানো প্রতিনিধি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহেদ আরমানকেও বিষয়টি অবগত করেন।
রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা থেকে দুই ঘণ্টা শহরের শহীদ ওসমান চত্বর এলাকায় লক্ষ্মীপুর-রায়পুর আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ রাখা হয়। এতে সড়কের দুইপাশে প্রায় ৩ কিলোমিটার জুড়ে যানজট সৃষ্টি হয়। জানা গেছে, ২৮ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের এক চিঠির মাধ্যমে জানা যায় ইউএনও ইমরানকে বান্দরবান সদর উপজেলায় বদলির আদেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে অবরোধ কর্মসূচিতে উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান হৃদকে নেতৃত্ব দিতে দেখা যায়। স্থানীয়দের দাবি, ছাত্রদল নেতাকর্মীরা শিক্ষার্থীদের ভুল বুঝিয়ে সড়কে আন্দোলনে নামিয়েছে।
এ নিয়ে মাহফুজুর রহমান হৃদয় বলেন, ‘ইউএনও ইমরান খানকে তার দায়িত্বে পুনর্বহালের দাবিতে আমরা সড়কে নেমেছি। এটি যৌক্তিক দাবি। এতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফুর্তভাবে অংশগ্রহণ করে।
রায়পুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি আবদুল মোতালেব গণমাধ্যমকে বলেন, সাধারণ ছাত্র-জনতার ব্যানারে কে বা কারা অবরোধের আয়োজন করেছে, তা জানা নেই।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহেদ আরমান বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের কথা বলেছি। তাদেরকে অবরোধ তুলে নিতে বলা হয়েছে। তাদের দাবি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।
রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান খান বলেন, ‘বদলির আদেশ পেয়েছি। শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধের বিষয়টি শুনেছি।’
লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহেদ আরমানকে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। কর্মসূচি কারা করেছে তাও খতিয়ে দেখা হবে।
১৫ ডিসেম্বর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে সকালে ইউএনও ইমরানকে অপসারণ চেয়ে ও বিকালে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে পাল্টাপাল্টি মানববন্ধন করা হয়। সাধারণ ছাত্র-জনতার ব্যানারে ওইদিন দুটি কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। ওইদিন জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপিও দেওয়া হয়।
0Share