তাবারক হোসেন আজাদ: মে মাসে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন উপলক্ষে সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে শিক্ষাবিদ ছফিউল্যা খাঁন জনপ্রিয়তায় এগিয়ে আছেন। সে লক্ষ্যে তিনি বৃদ্ধ বয়সে জয়ী হতে ভোটারদের দ¦ারে দ্বারে গিয়ে শুভেচছা বিনিময় করছেন। তিনি বিজয়ী হলে উপজেলাবাসীদের নিয়ে সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে রায়পুরকে চাঁদাবাজি, ঘুষ ও মাদকমুক্ত শহর নির্মানে আপ্রান চেষ্টা করবেন। শুক্রবার সকালে তার নিজ বাড়িতে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি উপজেলার চরমোহনা ইউনিয়নের দক্ষিন রায়পুর গ্রামের সম্ভ্রান্ত পরিবারের মরহুম আলহাজ্ব মৌলভী বসির উল্যা খাঁন সাহেবের ৩ ছেলে ১ মেয়ের মধ্যে ছোট ছেলে। তার ১ ছেলে ডাঃ মোঃ মোরশেদ আলম হিরু ও ১ মেয়ে হাফসা আক্তার। তিনি ২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ সদস্য প্রার্থী হতে আ.লীগের সভানেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে দলীয় প্রার্থী হিসেবে দলীয় মনোনয়ন চেয়ে ব্যার্থ হয়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যন পদে প্রার্থী হয়েছেন। তিনি জেলা আ.লীগের উপদেস্টা মন্ডলীর সদস্য, উপজেলা আ’লীগের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, চর মোহনা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, জেলা শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি, ২০০০ সালে জেলার ও ২০০১ সালে উপজেলার শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক হিসেবে পুরস্কার লাভ করেন এবং বর্তমানে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। লক্ষ্মীপুর কলেজিয়েট উচ্চবিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে কর্ম জীবন শুরু করে দক্ষতার সাথে প্রধান শিক্ষক হিসেবে শ্যামগঞ্জ, সন্তোষপুর, জনকল্যান বহুমূখী ও এলএম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০০৪ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর অবসর গ্রহন করেন। ২০০২ ও ২০০৩ সালে দুইবার কুমিল্লা বোর্ডে ইংরেজী দ্বিতীয় পত্রের প্রধান পরীক্ষক ও ২০১১ সালে এসএসসি পরীক্ষায় ভিজিলেন্স টিমের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
ছবি উল্যা খাঁন বলেন, দল আমাকে মনোনয়ন দিলে আমার জয়ের সম্ভাবনা শতভাগ। নির্বাচিত হলে রায়পুরকে মাদক ও দূর্ণীতিমুক্ত উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলব।
0Share