নিজস্ব প্রতিনিধি,রামগতি: রামগতি উপজেলার দিলারা বেগম(১১) নামের কিশোরীকে অবশেষে ঢাকা থেকে উদ্ধার হয়ে মায়ের কোলে ফিরে এসেছে ৪ বছর পর। সোমবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলা চরলক্ষ্মী গ্রামের রুপালী কলোনীতে দিলারা বেগমের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন আইন ও সালিশ কেন্দ্র। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, দিলারা বেগম ৭ বছর বয়সে কাজের সন্ধানে তার দাদির সাথে ঢাকায় যায়। বাসা-বাড়িতে বেশ কিছু মাস কাজ করার এক পর্যায়ে সে নিখোঁজ হয়ে যায়। নিখোঁজ হওয়ার পর অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে আর পাওয়া যায়নি।
কিশোরী দিলারা রামগতি উপজেলার চরলক্ষ্মী গ্রামের মো: ইব্রাহিমের মেয়ে। চলতি মাসের ১০ সেপ্টেম্বর মাসে ঢাকার কোন এক এলাকা থেকে উদ্ধার হয়ে আশ্রয় নেয় ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে। ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার থেকে ১লা অক্টোবর ঢাকাস্থ লালমাটিয়ার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রে তাকে পাঠানো হয়। আইন ও সালিশ কেন্দ্র থেকে মেয়েটির বর্ননা অনুযায়ী প্রকৃত ঠিকানা খুঁজে বের করে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেন।
দিলারা বেগম জানায়, ২০১১ সালে দাদি বেয়ায়েতুর নেছার সাথে ঢাকায় কাজের উদ্দেশ্যে যাই। এক বাসায় প্রায় এক বছর কাজও করি কিন্তু কোন ভাবেই আমার মা-বাবার সাথে দেখা করতে না দেওয়ায় আমি ওই বাসা থেকে পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়ার এক পর্যায়ে আমি ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে বেশ কিছুদিন থাকি। এরপর ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার থেকে আমাকে আইন ও সালিশ কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়।
দিলারা বেগমের মা তৈয়বা বেগম জানান, গত ৪ বছর ২ মাস আগে আমার শাশুড়ির সাথে আমার ৭ বছরের মেয়েটি কাজের সন্ধানে ঢাকায় যায়। বাসা থেকে নিখোঁজ হওয়ার পর তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। এতদিন পর আমার মেয়েকে কাছে পেয়ে আমি অনেক খুশি।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের মাঠ কর্মী শান্তা আহম্মেদ বলেন, আমাদের কেন্দ্রে দিলারাকে নিয়ে আসার পর ওকে আমরা থাকা, খাওয়া, পড়াশুনা, চিকিৎসা এমনকি সর্বশেষ তার মায়ের কাছে পৌঁছে দেওয়া পর্যন্ত আমরা সাহায্য করেছি।
0Share