ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে লক্ষীপুরে রামগতিতে অর্ধশতাধিক কাঁচা ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এ সময় তিন জন আহত হয়। ক্ষতিগ্রস্তদেরকে নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়া হয়েছে।
রবিবার (১০ নভেম্বর) দুপুর পর্যন্ত এ উপজেলার প্রায় তিন হাজার মানুষ সাইক্লোন শেল্টারে রয়েছে বলে জানা গেছে। তবে মূষলধারে বৃষ্টি ছাড়া জেলার অন্য কোথায় কোনো বড় দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। জানা গেছে, রবিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রামগতি উপজেলার চর আবদুল্যাহ ইউনিয়নের তেলির চর, চেয়ারম্যান বাজার ও কামাল বাজারে বুলবুল আঘাত হানে। প্রায় ১০ মিনিটে তাণ্ডবে অর্ধ-শতাধিক কাঁচাঘর বিধ্বস্ত, তিন জন আহত ও একটি গরু মারা গেছে।
এ সময় কয়েকটি গাছও উপড়ে পড়েছে। আগ থেকেই ওইসব ঘরের মানুষগুলোকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া বড় কোন ঘটনা ঘটেনি। এখনো সবাই নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছে। আহতরা স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছে। তবে মেঘনার পানি ২-৩ ফুট উচ্চতা বেড়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
এদিকে টানা বৃষ্টিতে আমন ধান ও শীতকালীন সবজির ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থানীয় কৃষকরাও এনিয়ে দুঃশ্চিন্তায় রয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড়ের দুর্ঘটনা এড়াতে জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সবধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে থেকে প্রায় ৬ হাজার মানুষকে সাইক্লোন শেল্টারে আনা হয়েছে। এর মধ্যে ৩ হাজার জন এখনো সাইক্লোন শেল্টারে আছে। বাকিরা বাড়িতে চলে গেছে। চর আবদুল্যাহ ইউনিয়নের বাসিন্দাদের আগেই নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনা হয়। প্রত্যেককে শুকনো খাবার পরিবেশন করা হয়েছে। জানতে চাইলে চর আবদুল্যাহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন মঞ্জুর বলেন, আমরা আগেই মানুষজনকে সরিয়ে নিয়েছি। প্রায় ১০ মিনিটের তান্ডবে ৪০টি কাঁচাঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। দুই-তিনজন আহত হলেও বড় ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। সবাই নিরাপদ স্থানে রয়েছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরক্তি উপ-পরিচালক কিশোর কুমার মজুমদার জানান, বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় আমন ধান ও শীতকালীন সবজির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। ক্ষয়ক্ষতির নিরুপণের কাজ চলছে। এ ব্যাপারে রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবদুল মোমিন বলেন, চর আবদুল্যাহ ইউনিয়নেই বুলবুল তাণ্ডব চালিয়েছে। ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হলেও বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। পৌরসভাসহ অন্যান্য ইউনিয়নের মানুষ সুরক্ষিত আছে।
0Share