বাড়িতে খাদ্য সামগ্রী যা ছিল, তা ফুরিয়ে গেছে। বাইরেও কাজ-কর্ম বন্ধ। উপার্জিত অর্থও শেষ। ক্ষুধার জ্বালা সহ্য করতে না পেরে স্থানীয়দের দ্বারস্থ হচ্ছিলেন লক্ষ্মীপুরের রামগতির কয়েকজন শ্রমজীবি। করুণ এ পরিস্থিতির বিষয়টি স্থানীয় সাংবাদিকের নজরে আসলে সাথে সাথে রামগতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আব্দুল মোমিনের মুঠোফোনে ফোন করে জানালেন তিনি।
বিষয়টি জানতে পেরে ইউএনও খাদ্যসামগ্রী নিয়ে হাজির হন শ্রমজীবি ওই পরিবারগুলোর কাছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই শ্রমজীবিরা জানালেন, পেটে দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত খাবার তাদের ঘরে নেই। উপার্জিত টাকাও শেষ হয়ে গেছে তাদের। পর্যাপ্ত খাবার না থাকায় ক্ষুধার জ্বালায় কষ্ট পাচ্ছিলেন তারা। ফোন পেয়ে ইউএনও সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তাদেরকে পৌঁছে দিলেন দশ কেজি চাল, দুই কেজি আলু, এক কেজি পেঁয়াজ, এক কেজি ডাল, এক কেজি লবন ও ১ লিটার তেল।
এছাড়াও রামগতির গরীব ও দু:স্থদের মধ্যে যারা ইতোমধ্যে প্রদানকৃত সহায়তা পাননি তাদের খাদ্য সহায়তা প্রয়োজন হলে এসএমএস কিংবা মোবাইল করে জানাতে বলেছিলেন উপজেলা প্রশাসন। সে অনুয়ায়ি অর্ধ শতাধিক পরিবারের মাঝেও খাদ্য সমগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। এরমধ্যে ছিলো দশ কেজি চাল, দুই কেজি আলু, এক কেজি পেঁয়াজ, এক কেজি ডাল ও তেল।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আব্দুল মোমিন বলেন, স্থানীয় লোকজনকে ঘরে থাকতে আমরা শুরু থেকে বলে আসছি। প্রয়োজনে খাবার আপনার ঘরে পৌঁছে যাবে বলে জানিয়েছি আমরা। সে অনুযায়ী আমি সরকারি নির্দেশনা পালন করেছি মাত্র। উপকূলীয় অঞ্চলের কর্মজীবি মানুষ যাতে নিজ গৃহে থাকে তাই আমাদের এ আয়োজন।
0Share