লক্ষ্মীপুরের রামগতির চর বাদাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও তার ভাইয়ের সম্পত্তি তারই চাচতো ভাই আলী হায়দার চৌধুরী গংদের মিথ্যা মামলা ও লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে দখলের পাঁয়তারার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।
সোমবার সকালে চর বাদাম ইউনিয়ন পরিষদের হল রুমে অনু্িষ্ঠত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ইউপি চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেন জসিম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, তার ভাই নুরুল আমিন, ভাতিজা ও তার পরিবারের সদস্যবৃন্দ।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, তোরাব আলী হাওলাদার হেবা দলিলের মাধ্যমে তার ৩ সন্তানকে সমস্ত সম্পদ সমবন্টন করে যান। কিন্তু আলী হায়দার গং ২৮ একর জমি নানা কৌশলে ও জোরপূর্বক বেশি ভোগ করছে। এ স্বত্ত্বেও উপজেলার চর বাদাম ইউনিয়নের কারামতিয়া বাজার সংলগ্ন পূর্ব চর সীতা মৌজার ২৭৯, ৫৮৮ ও ৬৩৯ নং খতিয়ানের অন্দরে ১২ একর জমি নানা ছুতোয় দখলের অপচেষ্টা করছেন আলী হায়দার।
এ ব্যাপারে ভূক্তভোগী জসিম চেয়ারম্যানের ভাই নুরুল আমিন বাদি হয়ে বিজ্ঞ সহকারী জজ আদালত লক্ষ্মীপুরে উল্লেখিত জমিতে শান্তি রক্ষার্থে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, ৫৫/৩১ নং পূর্ব চর সীতা মৌজার ৫৮৮ নং দিয়ারা খতিয়ানের দাগ সমূহের অন্দরে তারা চর নেয়ামত ও পূর্ব চর সীতা মৌজার (৪৮১+৪১৯+৬১৯.৭৫) ১৫.২৭৭৫ সাবেক ২৫৮৬, ২৮৯, ৭২১০,৭২১১ ও ৭৪৭৬ দাগ মৌরশের আমল থেকে প্রায় ৭০ বছর ধরে নাল জমি হিসেবে চাষাবাদ করে আসছেন এবং তাদের ভোগদখলে রয়েছে।
মৌরশী সম্পত্তিটির রেকর্ড, খাজনা, দলিল ও অন্যান্য কাগজপত্র তুলে ধরে তারাই প্রকৃত মালিক বলে তারা দাবি করেন।
তিনি বলেন, ১৯৮৫ সালে তার চাচা আলহাজ্ব ঈমান আলী পন্ডিত চর সীতা তোরাব আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের স্কুল পরিচালনা কমিটির সহ সভাপতি ছিলেন। তার জীবদ্দশায় তিনি সফিকুল হায়দার চৌধুরীকে কিছু জমি দান করেন। তার মৃত্যুর পর জুলফিকার হায়দার চৌধুরী ইউনিয়ন পরিষদে রক্ষিত মৃত্যু রেজিষ্টারে লিখিত ঈমান আালী পন্ডিতের মৃত্যুর সাল টেম্পারিং করে সফিকুল হায়দার চৌধুরীর বিরুদ্ধে আদালতে জাল দলিল সৃষ্টির মিথ্যা মামলা করেন।
জসিম চেয়ারম্যান বলেন, আমরা এ উপজেলার রাজনৈতিক সচেতন এবং সম্ভ্রান্ত পরিবার। ভদ্র ও স্বচ্ছ এবং আইনের প্রতি কঠোর শ্রদ্ধাশীল ব্যক্তি হিসেবে আমাদের সর্বজনবিদিত যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। কখনোই আমাদের পরিবারের লাঠিয়াল বা সন্ত্রাসী বাহিনী ছিল না। আমাদের বিরুদ্ধে কোন ধরনের মামলা মোকদ্দমা নেই এবং ছিল না। আমাদের পরিবারের ঈমান আলী পন্ডিত পাকিস্থান আমলে চেয়ারম্যান, পরে তার ছেলে অধ্যক্ষ গোলাম মাওলা চৌধুরী উপজেলা আওয়ামী লীগের আমৃত্যু সভাপতি এবং এ ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান ছিলেন। কোন লোভ কখনো আমাদের স্পর্শ করতে পারেনি। সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের মৌরশী সম্পত্তি আমরা পূর্ব পুরুষ থেকে ভোগদখল ও চাষাবাদ করে আসছি। গত ২৮ অগাস্ট ধান রোপণ করতে গেলে আমার চাচাতো ভাই আলী হায়দার ও তার ছেলেরা বাধা দেয়। তাদের উশৃঙ্খল আচরণে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তারা তাদের সকল সম্পত্তি বিক্রি করে এখন আমাদের সম্পদের দিকে নজর দিয়েছে। আমরা এর ন্যয় বিচার প্রত্যাশা করছি।
এ বিষয়ে রামগতি থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, সম্পত্তিটি নিয়ে উভয় পক্ষের পৃথক দুটি মামলা আদালতে চলমান রয়েছে। কোন ক্রমেই যেন শান্তি-শৃঙ্খলা ভঙ্গ না হয় সেদিকে আমাদের নজর রয়েছে।
0Share