নিজস্ব প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরের কমলনগর গুরুত্বপূর্ণ জারিরদোনা শাখা খাল ময়লা আবজর্নার বাগাড়ে পরিনত হয়েছে। খাল দখল করে উপজেলা সদর হাজির হাট বাজার অংশের প্রায় ১কি:মি: জুড়ে গড়ে উঠেছে ছোট বড় অসংখ্য স্থাপনা। ফলে স্থায়ী ভাবে জলাবদ্ধতা সৃষ্টিহয়েছে। এ খালটির সংযোগ মেঘনা নদীর সাথে। খালের সাথে জড়িয়ে আছে চর লরেঞ্, চর ফলকন, চর জাঙ্গালীয়া এবং পাটাওয়ারী হাট ইউনিয়নের কয়েক হাজার কৃষকের ভাগ্য এবং এলাকার পরিবেশ। কৃষকরা বার বার প্রশাসনের কাছে ধর্ণা দিয়েও খাল দখলের মহোৎসব আটকাতে পারছে না। উল্টো খালে লাগাতর ময়লা আবর্জনা ফেলে পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে।
তাছাড়া কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে বাড়ির পথ তৈরী করার জন্য মাত্র কয়েক মিটার পর পর তৈরী করেছে ছোট ছোট পুল- কার্লভাড, তাই ক্রমশ সরু থেকে সরু হয়ে গেছে খালটি। অনুসন্ধানে জানাযায়, পিএস খতিয়ান ও নকশা অনুযায়ী খালের প্রস্থের গড় ৩৪ ফুট। কিন্তু তা বর্তমানে অনেক জায়গায় ২ ফুট ও পাওয়া যাবেনা।
জানা যায়, সত্তরের দশকের শেষের দিক পর্যন্ত এ খালে বড় বড় মহাজনি নৌকা আসতো। এই নৌ-পথটিই তখন এ অঞ্চলের ব্যবসা বাণিজ্যের এক মাত্র অবলম্বন ছিল। চর ফলকন ভূমি অফিসের সহকারি ভূমি কর্মকর্তা দিদার হোসেন বলেন, ২০১২ সালে আমরা উপজেলা সহকারি ভূমি কমিশনারের নিকট দখল উদ্ধারের জন্য আবেদন করেছিলাম সেটি এখনো পেন্ডিং আছে।এ দিকে এবারের টানা বর্ষণে পচে গেছে কৃষকের ফসল সয়াবিন, আউশ। বর্তমানে স্থায়ী জলাবদ্ধতার কারণে অনেক কৃষক এখনো আমোন ধানের বীজতলা তৈরী করতে পারেনি। যারা করেছে তাদের বীজতলা পচে গেছে।
হাজিরহাটের মতো বড় বাজারের প্রতিনিয়ত প্রচুর পরিমানে বর্জ্য উৎপাদিত। এ সকল বর্জ্য কোন রকম ব্যবস্থাপনা বা ডাম্পিং করার ব্যবস্থা নেই। এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ উদাসীন প্রশাসন, বাজার কমিটি ও ইজারাদারগণ। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও হাজিরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন বলেন, ময়লা ব্যবস্থাপনার কোন আয়োজন করতে পারছিনা। তাই আমাদের নিষেধ সত্বেও বাজারের ঝাড়ুদার এবং সবাই খালে ময়লা ফেলে। দখলএবং আবর্জনার বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান মোল্লা বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও খাল দখল মুক্ত করার ব্যবস্থা আমরা নিচ্ছি এবং এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। অন্যদিকে কৃষকরা প্রশাসনের আশ্বাস দ্রুত বাস্তবায়ন চায়। তাদের বক্তব্য জারিরদোনা খালের দখল অংশ দ্রুত উদ্ধার দরকার।
0Share