লক্ষ্মীপুরের উপকূলীয় উপজেলা রামগতিতে নদী ভাঙনের শিকার হয়ে বিগত ২ বছর আগে আসেন মিলন মোল্লা। এর আগে ৫০ বছর কাটিয়েছেন বরিশালে, তিনি পেশায় পরিচ্ছন্নকর্মী। পরিবারের ৬ সদস্য নিয়ে মানবেতর জিবন-যাপন করছেন তাঁরা। করোনা এমন দুর্দিনে কর্মহীন হয়ে পড়লেও তাদের কেউ খবর রাখেননি বলেন মিলন মোল্লার স্ত্রী বিলকিস বেগম।
তিনি জানায়, পরিবারে দুই ছেলে ও ছেলের বউ নিয়ে বহুত দু:খে কষ্টে চলছে আমাদের জীবন। অনাহারে, অর্ধাহারে চলছে আমাদের অবহেলিত এ সংসার। চারদিকে খাদ্য সহায়তা খবর শুনলেও আমাদের ভাগ্যে তা জুটছে না। দীর্ঘদিন আগে চরগাজী ইউনিয়ন পরিষদ থেকে একটি ঘর পাওয়ার আশ্বাস পেয়েছিলাম। তবে, তা স্বপ্নেই থেকে যাবে মনে হচ্ছে। একটি ঘর পেলে অন্তত মাথা গোজার ঠাঁই হত আমাদের। আমরা বরিশাল থেকে নদী ভাঙনের শিকার হয়ে সবকিছু হারিয়ে এ অঞ্চলে এসেছি।
মিলন মোল্লা জানান, পরিচ্ছন্নকর্মী হিসেবে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে কাজ করে আর কতই আর পাই, অভাব-অনটনের সংসার মোদের। এখন আগের মত কাজ কাম নাই, বহুত কষ্টে চলছে মোদের সংসার।
চরগাজী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাওহীদুল ইসলাম সুমন বলেন, মিলন মোল্লার পরিবারের কাগজ পত্র সংগ্রহ করে রেখেছি, ঘরের বরাদ্দ পেলে তাঁদের দেওয়া হবে।
রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল মোমিন বলেন, যে কেউ তাদের বিষয়ে ৩৩৩ ফোন দিয়ে জানালে রেসপন্স টিমের মাধ্যমে তাদের ঘরে প্রধানমন্ত্রীর উপহার খাদ্য সহায়তা পৌঁছে যেতো।
95Share