আবদুর রব ছিদ্দিকী: ঢাকাস্থ লক্ষ্মীপুরবাসিদের আশা-আকাঙ্ক্ষা আর আস্থার প্রতীক লক্ষ্মীপুর জেলা সমিতি। দলমত নির্বিশেষে সেতুর বন্ধন এটি। বলা চলে আমাদের প্রাণের সংগঠন। সমিতিতে যাঁরা নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন এবং ভবিষ্যতে দিবেন, তাঁদের ব্যক্তিগত কোনো লাভ নেই। যতদিন এর সাথে জড়িত থাকবেন সংগঠনকে দিতে হবে। সংগঠন থেকে পাবার কিছু নেই। এর সাথে জড়িত থাকা মানেই নিজের পকেটের টাকা খরচ। হাঁ, সংগঠনের সাথে থাকলে মিলে সদস্যদের অকৃত্রিম শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা। গড়ে ওঠে চমৎকার ভ্রাতৃত্ব বন্ধন। এটাই অনেক বড় পাওনা। সামাজিক সংগঠনে নির্বাচন সুখকর কিছু বয়ে আনে না।
অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে সমিতি নির্বাচনের দিকে ধাবিত হচ্ছে। এটি নি:সন্দেহে খারাপ দৃষ্টান্ত স্থাপন হতে যাচ্ছে। নির্বাচনে একদল হারবে,একদল জিতবে। বিজিত দল অভিমান করে সমিতিতে যাওয়া আসা বন্ধ করবে।নির্বাচনের কারণে কিছু অযোগ্য অদক্ষ লোক নেতৃত্বে আসবে,আবার কিছু দক্ষ যোগ্য লোক বাদ পড়বে।এতে কি সমিতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে না? যে বিভাজন সৃষ্টি হবে তা দূর করবে কে? আবার কি ১৯৯৯ সন আসন্ন? বার্ষিক সাধারণ সভার পরে লিখেছিলাম যেনো নির্বাচনী পর্যায়ে না যায়।সম্মানিত সভাপতি ফরিদ ভাই ও সাধারণ সম্পাদক ফখরুল ভাই আন্তরিক হলে নির্বাচন এড়ানো যায় বলে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস।পরিশেষে আবারও বলছি,আপনারা দ্রুত আন্তরিক হোন,বিভাজন থেকে সমিতিকে বাঁচান।সুস্পষ্টরূপে বলছি,এবার যদি নির্বাচন হয়-ই তা হলে এ ধারা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।তরুণ প্রজন্মকে আপনারা দাবিয়ে রাখতে পারবেন না।
0Share