আলম শাইন পুরো নাম শামছুল আলম। সার্টিফিকেট নাম শামছুল আলম। ডাকনাম ছিল শাহীন। কিন্তু তাঁর বাবা-মা ‘হীন’ শব্দ উচ্চারণ না করে ‘ইন’ শব্দ উচ্চারণ করতেন। তাই যখন লেখালেখি শুরু করেন তখন শামছুল বাদ দিয়ে ‘আলম শাহীন’ লিখতে চেয়েছিলেন তিনি কিন্তু স্ত্রীর অনুরোধে বাবা-মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে প্রস্তাব করলেন তাদের সেই অশুদ্ধ উচ্চারণ দিয়ে ‘আলম শাইন’ লেখা হোক। তারপর থেকে তিনি শামছুল আলম বাদ দিয়ে পরিচিত হন আলম শাইন নামে। বাংলাদেশে যে কয়জন বন্যপ্রাণী বিশারদ ও পরিবেশবিদ আছেন আলম শাইন তাদের মধ্যে অন্যতম। দেশ বিদেশে তার অসংখ্য লেখা সমাদৃত হয়েছে।
তিনি কথা সাহিত্যিক, কলামিস্ট, বন্যপ্রাণী বিশারদ ও পরিবেশবিদ। ১৯৭১ সালের ১৮ জানুয়ারি লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার পূর্ব চরপাতা গ্রামে জন্ম গ্রহন করেন। তিনি রায়পুর এল.এম. পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস.এস.সি রায়পুর সরকারি ডিগ্রী কলেজ থেকে এইচ. এস. সি এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চ ডিগ্রী লাভ করেন।
এ যাবত তিনি তেরটি উপন্যাস, ১৩০টি রম্যরচনা এবং হাজার খানেক প্রবন্ধ-নিবন্ধ-ফিচার লিখেছেন। এর মধ্যে পাখি নিয়ে প্রকাশিত ফিচারের সংখ্যা পাঁচশতাধিক। তার প্রকাশিত গ্রন্থগুলো হচ্ছে, উপন্যাস ঘুণে খাওয়া বাঁশি, ঘুষ নিয়ে ঘুষাঘুষি, দৌড়, ওস্তা, মাইট্যা ব্যাংকের গভর্নর, নিষিদ্ধ বাড়ি, সুন্দরবনে দু’রাত, আমি খাই জুতা, নিশিকন্যা, চিতাশালার মোড়ে, নীলকুঠি হ্রদ ও লাল বালির দ্বীপ। হাজাম সম্প্রদায় নিয়ে লেখা লেখকের ‘ওস্তা’ উপন্যাস দুই বাংলায় ব্যাপক আলোচিত হয়েছে।
উপন্যাসটি ড. মঞ্জুশ্রী সাহিত্য পুরস্কার ২০০৮ ভূষিত হয়। এ ছাড়াও পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রবর্তিত ‘বোস্টন বাংলা নিউজ অ্যাওয়ার্ড-২০১৫’ ভূষিত হয়েছেন। ভূষিত হয়েছেন ‘ক্যানভাস অব বাংলাদেশ বিজয় দিবস সম্মাননা-২০১৭’ । এছাড়াও দেশের প্রথম প্রবর্তিত ‘গ্রীনম্যান অ্যাওয়ার্ড-২০১৯ ভূষিত হয়েছেন। বর্তমানে আলম শাইন বন্যপ্রাণী নিয়ে কাজ করছেন এবং দেশের প্রথম শ্রেণীর জাতীয় দৈনিকগুলোতে নিয়মিত কলাম লিখছেন।
0Share