অধ্যাপক আজিজুর রহমান আযমঃ এক সময়ের তুখোড় ছাত্রনেতা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি, বর্তমান সরকারের একজন সফল মন্ত্রী বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মতো অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি দলের সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ায় নোয়াখালী বিভাগ হওয়ার দাবিকে একধাপ এগিয়ে দিলো ওবায়েদুল কাদের নিজেই। এমনটাই মনে করেন বৃহত্তর নোয়াখালীর সাধারণ জনগণ।
মিডিয়ায় এ খবর প্রচারের সাথে সাথেই মেয়র এমএ তাহেরের নেতৃত্বে লক্ষ্মীপুর শহরে এক বিশাল আনন্দ মিছিল বের করা হয়। এক সময়ের বিএনপির দুর্গ হিসেবে পরিচিত নোয়াখালী জেলার জন মানুষের প্রিয় নেতা ওবায়দুল কাদের নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ সংসদীয় আসন থেকে বার বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে আসছেন।
এক নির্বাচনে তিনি বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থী সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিষ্টার মওদুদ আহম্মদকে হারিয়ে দিয়ে দেশে চমক সৃষ্টি করেছেন। তার বর্নাঢ্য রাজনৈতিক ক্যারিয়ার, দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ও গুছিয়ে কথা বলার ক্ষমতা তাকে আওয়ামীলীগের মতো এক বিশাল দলের সাধারণ সম্পাদক পদে অধিষ্ঠিত করে।
সাধার সম্পাদক পরিবর্তনই বড় চমক ছিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের এবারের সম্মেলনে। টানটান উত্তেজনা আর কর্মীদের ছিল রুদ্ধশ্বাস অপেক্ষা। অনেক বছর পর দলের মাঠের নেতা-কর্মীরা এমন চমক পেলেন। এবারের সম্মেলনের গুরুত্ব বাড়িয়ে দেয় সাধারণ সম্পাদক পদে পরিবর্তন। দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামে মাঠপর্যায় থেকে উঠে আসা একজন নেতাকে দলের সাধারণ সম্পাদক পেয়ে উচ্ছ্বাস তৈরি হয়েছে নেতা-কর্মীদের মধ্যে।
ওবায়েদুল কাদের তার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে দলীয় সভানেত্রীর পরামর্শে আওয়ামীলীগকে আরও গতিশীল সুসংগঠিত করতে পারবেন বলে সারা দেশের মানুষের মত লক্ষ্মীপুরের সচেতন জনগনও এক মত পোষণ করে। তাই তাঁর এই পদে আসীন হওয়ায় লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিকলীগ, কৃষকলীগ, বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ, স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ, লক্ষ্মীপুর আইনজীবি সমিতি, জেলা জাসদ (রব), জাসদ (ইনু), জেলা ওর্য়াকাস পার্টি, জেলা সাম্যবাদী দল, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড সহ প্রায় সকল সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেত্রী-বৃন্দ আনন্দের বন্যায় মাতোয়ারা হয়ে যায় এবং সকল নেতৃবৃন্দ আওয়ামীলীগের সভাপতি জননেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান।
মেয়র এমএ তাহের, জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু, সাধারণ সম্পাদক এড. নুরউদ্দীন চৌধুরী নয়ন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আনম ফজলুল করিম, উপজেলা চেয়ারম্যান সালাহ্উদ্দিন টিপু, অধ্যক্ষ মামুনুর রশিদ, অধ্যক্ষ নুরুলহুদা বকুল, মাষ্টার রুহুল আমিন, ফরিদা ইয়াসমিন লিকা, অধ্যাপক মাইনউদ্দিন পাঠান, অধ্যাপক গাজী গিয়াসউদ্দিন, অধ্যাপক আজিজুর রহমান আযম, মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ারুল হক, আইনজীবি জিএইচএম আব্দুর নুর, এড. তারেক উদ্দিন মাহমুদ চৌধুরী, এড. শৈবাল কান্তি সাহা, ডাঃ আশফাকুর রহমান মামুন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শংকর বাবু, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আজাদ ভূঁইয়া সহ সকল নেতৃবৃন্দ এই খবরে অত্যন্ত ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে। বক্তারা বলেন বর্তমান সরকারের ভিশন-২০২১ প্রতিষ্ঠায় এবং দেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দুর্নীতি মুক্ত করা ও ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশের মর্যাদায় পৌঁছাতে হলে আওয়ামীলীগের হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। তবেই বাংলাদেশ বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে যেটা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল। এই দেশকে সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলা তার এই অসমাপ্ত স্বপ্ন বর্তমান আওয়ামী নেতৃতে¦ই পূরণ করতে পারবে বলে জনগন দৃড় ভাবে বিশ্বাস করে। ওবায়দুল কাদের এই পদ অলংকৃত করায় নোয়াখালী বিভাগ হওয়ার স¦প্ন এক ধাপ এগিয়ে গেল। বঙ্গবন্ধুর গড়া এই দলে নোয়াখালীর মরহুম মালেক উকিল, প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ উল্যাহর পর ওবায়দুল কাদের তাদের শূন্যস্থান পূরণ করলেন। সারা দেশের মানুষের মতো লক্ষ্মীপুরের মানুষও মনে করে ওবায়দুল কাদের তাঁর এই পদের মর্যাদা রাখতে পারবেন এবং দলকে এক অন্যন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবেন। সর্বশেষ নোয়াখাইল্লাদের দীর্ঘদিনে দাবি নোয়াখালী বিভাগ হবে।
লেখক: সাংবাদিক ও কলামিষ্ট। সভাপতি, বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ, লক্ষ্মীপুর জেলা শাখা
মুঠোফোনঃ ০১৭১৬-৫৪৭৪৫৭
0Share