নিজস্ব প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে খাবার রেস্তারার শ্রমিক আবিরের (১৫) ঘুষিতে অপর কিশোর সহকর্মী রিয়াজ (১৪) নিহত হয়েছে। তবে নিহতের পরিবারের অভিযোগ রেস্তারার মালিক জাহেরসহ অন্যরা তাকে মারধর করার কারনে তার মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় কিশোর আবিরকে আটক করা হয়েছে। এছাড়াও ওই হোটেলের আরও পাঁচজন কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়েছে। সোমবার (২০ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে রামগতি উপজেলা সদর আলেকজান্ডার বাজারে গ্রামীণ রেস্তারায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত রিয়াজ উপজেলার শিক্ষাগ্রামের সফু মাঝির ছেলে। অভিযুক্ত আবির কোলাকোপা গ্রামের আবদুল হাইয়ের ছেলে।
নিহতের মা পারভীন আক্তার ও বাবা সফু মাঝি বলেন, পরিবারের অভাব মেটাতে গত ৩ বছর ধরে গ্রামীণ রেস্তারায় কাজ করছে রিয়াজ। সোমবার রাতে রেস্তারার রান্না ঘরে সহকর্মী আবিরের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় রিয়াজের। এক পর্যায়ে আবির ও রেস্তারার মালিক জাহের তাকে মারধর করে। এতে রিয়াজ গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এ সময় তাকে উদ্ধার করে রামগতি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ রেস্তারার মালিক তার মরদেহ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যায় বলেও অভিযোগ করেন তারা। মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) সকালে রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) মো. ইকবাল হোসেন বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই হোটেলের দুই কর্মচারীর মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে হোটেল কর্মচারী আবিরের ঘুষিতে সহকর্মী রিয়াজ অচেতন হয়ে পড়ে। পরে তাকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিলে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় অভিযুক্ত আবিরকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
0Share