লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে জ্বরের প্রকোপ ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত কয়েক সপ্তাহে ধরে হঠাৎ করে জ্বরের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে।
গোপনে গোপনে চিকিৎসা নিচ্ছেন বহু পরিবার আবার কেউ কেউ যাচ্ছেন চিকিৎসক ও ঔষধ বিক্রেতার কাছে। অনেকেই আঁড়াল করছেন উপসর্গগুলোকে।
গত তিন সপ্তাহে লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীর চাপ আশঙ্কাজনক ভাবে বেড়ে গেছে। ৩০ শয্যার এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিধিনিষেধের মধ্যেও চলতি মাসের শুরু থেকে ১১ তারিখ পর্যন্ত আউটডোরে চিকিৎসা নিয়েছেন এক হাজার ৮৩০ জন রোগী। এর মধ্যে শুধু জ্বরে আক্রান্ত রোগী ৪০ শতাংশ।
সরেজমিনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা গেছে, জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে বয়স্কদের সংখ্যাই বেশি। ঘরে ঘরে জ্বর আশঙ্কাজনক হারে বেড়েই চলছে। পরিবারের একজন সদস্য থেকে অন্যরাও সংক্রামিত হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে এ জ্বর ভয়াবহ রূপ নেবে, এ আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এ জন্য সকলকে মাস্কের শতভাগ ব্যবহার ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ দেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণে গত মাসের শেষের দিকে হাসপাতালে জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। বর্তমানে বেশির ভাগ রোগী আসছে চরগাজী, বড়খেরী, চর রমিজ এলাকা থেকে। এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৩৭ জন এবং আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন চার জন।
চলতি মাসে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩৮ জন। আক্রান্তের সংখ্যা আরও বেশি বলে ধারণা করছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কেননা অধিকাংশ জ্বরে আক্রান্ত রোগী পরীক্ষা না করেই চলে যান।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কামনাশিস মজুমদার জানান, অসচেতন ভাবে চলাফেরা, সামাজিক দূরত্বের অভাব, মাস্কের প্রতি অনিহার কারণে জ্বরের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। জ্বর নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
0Share